রয়েল একাডেমির ১৭ তম বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দাবা গ্রান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর….প্রয়াত বিশিষ্ট সমাজসেবী ড. রজনীকান্ত দোলই-র প্রতিষ্ঠিত মেদিনীপুর শহরের রয়েল একাডেমির দু-দিনের বার্ষিক সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো মেদিনীপুর শহরের শহিদ প্রদ্য্যুৎ স্মৃতি সদনে দুদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বনামধন্য বহু ব্যক্তি। নাচ গান নাটকে অংশ নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা ভাসলো আনন্দ উচ্ছ্বাসে। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত দাবাড়ু দিব্যেন্দু বড়ুয়া।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী অমর্ত্যানন্দ মহারাজ। অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানান অধক্ষ্য সত্যব্রত দোলাই। মুখ্য অতিথি হিসেবে ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিবাজীপ্রতিম বসু। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন গড়বেতা কলেজের অধ্যক্ষ হরিপ্রসাদ সরকার, সবং এম এন এম মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রিন্সিপাল মোনালিসা সেন পাল, লেখক শিশির চক্রবর্তী, রয়েল একাডেমির সম্পাদক ভক্তি দোলই, অধ্যক্ষ সত্যব্রত দোলই প্রমুখ।

    দ্বিতীয় দিন (২৩ ডিসেম্বর ২০২২) বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন দাবা গ্রান্ডমাস্টার ও অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত দাবাড়ু দিব্যেন্দু বড়ুয়া। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সব্যসাচী পত্রিকার সম্পাদক নিশীথ কুমার দাস, জ্বলদর্চি পত্রিকার সম্পাদক ঋত্বিক ত্রিপাঠী প্রমুখ।
    অধ্যক্ষ সত্যব্রত দোলই জানান, “আমাদের ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করছে নিয়মিত। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীলতায়ও পিছিয়ে নেই। ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দেবার জন্য আমরা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সফল এমন ব্যক্তিদের আহ্বান জানাই। এবার আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছেন দাবাড়ু দিব্যেন্দু বড়ুয়া। আমরা গর্বিত।”

    উল্লেখ্য, গ্রান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া ১৯৭৮ সালে ১২ বছর বয়সে ভারতীয় জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ দাবায় সর্বকনিষ্ঠ অংশগ্রহণকারী হিসাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮২ সালে বড়ুয়া তৎকালীন বিশ্বের দুই নম্বর গ্র্যান্ডমাস্টার প্রয়াত ভিক্টর করশনয়কে লন্ডনে পরাজিত করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি প্রথমবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন। বড়ুয়া ১৯৯১ সালে ফিদে দ্বারা গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাবে ভুষিত হন। ১৯৮৩ সালে অর্জুন পুরস্কার পান।

    ক্লাশ পরীক্ষার কৃতী ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার তুলে দেন সম্মাননীয় অতিথিরা। ছাত্রছাত্রীরা পরিবেশন করে নাচ, গান, নাটক।