আজও বিড়ি বেঁধে দিন গুজরান বহু গ্রামীণ মহিলার : প্রশাসন কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাড়ছে শিশুশ্রমিক বিড়ি বাঁধার কাজে

মহঃ সফিউল আলম , বীরভূম :

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি বীরভূমের বিভিন্ন ব্লক এলাকার একাধিক প্রান্তে লক্ষ্য করা যায় , মহিলারা বিড়ি বাঁধাই এর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন ৷ তাঁদের সঙ্গে কাজে হাত লাগাচ্ছেন শিশু , কিশোর , কিশোরী , তরুণ , তরুণী , যুবক , যুবতীরাও ৷ তবে নাবালক নাবালিকা ও শিশুরা একাজে যুক্ত হয়ে পড়ায় নানা প্রকার ক্ষতির আশংকা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে ৷

    মহিলা বিড়ি শ্রমিকদের মধ্যে আলকামা বিবি , নুরেশা খাতুন , জুলি বেগমরা বলেন , দীর্ঘ কয়েক দশক থেকে আমরা এই কাজ করে আসছি ৷ বিড়ির তামাক অর্থাৎ সূর্তি থেকে হৃদ রোগ , ফুসফুস এর সমস্যা জনিত রোগ , শ্বাস কষ্ট , হাঁপানি , শিরদাঁড়া ও কোমরে ব্যথা প্রভৃতি অসুখে ভুগছেন অনেকে ৷ দিলবাহার হোসেন , কলিম শেখরা বলেন ,আমরা বাধ্য হয়ে এই কাজ এখনও করছি কারণ এই বয়সে নতুন কোনো কাজ খোঁজা খুবই কঠিন বা অসম্ভব ৷

    ইতিমধ্যে বিগত কয়েক বছরে বীরভূমের বিভিন্ন গ্রামে বিড়ি শ্রমিকদের কয়েকজন অকালে রোগাক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৷ সরকারী ভাবে তাঁদের জন্য নানা প্রকল্প চালু থাকলেও অনেকে তার সুযোগ এখনও পাননা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে ৷বিড়ি শ্রমিকের পরিচয় পত্র থাকলেও যথাযথ সুবিধা তাঁরা আজও পাননি বলে জানান কয়েকজন প্রবীণ , প্রবীণা বিড়ি শ্রমিক ৷এবিষয়ে তাঁরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ৷ শিশুদের বা কম বয়সীদের এ কাজে যুক্ত করার বিষয়ে অভিভাবকরা বলেন , বিকল্প কাজের সুযোগ পেলে তাদের এই কাজ থেকে সরিয়ে দেবো ৷ যদিও সচেতন কিছু অভিভাবক তাদের ছেলে মেয়েদের সম্ভাব্য ক্ষতির দিক বিবেচনা করে এখন থেকেই অন্য পেশায় যুক্ত করতে শুরু করেছেন বলে রাজনগর , দুবরাজপুর ও সিউড়ির বেশ কয়েকজন বিড়ি শ্রমিক এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন ৷ তবে অনেকের বক্তব্য , যেকোনো পেশায় শিশু শ্রম বন্ধ হওয়া উচিৎ ৷ ব্যতিক্রম নয় এই পেশাও ৷ নিয়মিত প্রশাসনিক নজরদারি এই সব ক্ষেত্রে জরুরী বলে মনে করছেন অনেকে ৷সেই সাথে ক্ষতিকারক পেশায় বয়স্ক যাঁরা যুক্ত তাঁদের বিকল্প কোনো পেশায় যুক্ত করা সম্ভব কিনা তাও ভেবে দেখা দরকার কর্তৃপক্ষের ৷ এমনটাই মনে করছেন অনেকে ৷