|
---|
উজির আলী,নতুনগতি, চাঁচল: ২৯ মার্চ
ভারতে হু হু করে বেড়ে চলছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোন সংক্রমনে পার হয়েছে হাজারো আক্রান্ত। দেশে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ২০। তাই রীতি মতো আতঙ্কের থাবা বসিয়েছে দেশ সহ রাজ্য জুড়ে। তবে আতঙ্কের রেশে অভিনব উদ্যোগ নিল মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ পঞ্চায়েত সমস্ত সদস্যগন।
সম্প্রীতি মহামারীতে এলাকায় ফিরেছেন শতাধিক ভিন শ্রমিক। ভিন ফেরতরা শারীরিক সুস্থ থাকলেও ১৪ দিন বাড়ির ভেতরেরই থাকার পরামর্শ দেন স্থানীয় স্বাস্হ্য দপ্তরের ডাক্তাররা। তবে তা অমান্য করে হাট-বাজার,দোকাটপাট লোকালয়ে দাপিয়ে ঘোরাফেরা চলছিল ফিন ফেরতদের।
এলাকার বাসীররা দাবী জানাচ্ছিল ভিন ফেরতদের কোয়ারান্টিনে ১৪ হেফাজত রাখার। সূত্রের খবর,সঙ্কটকালীন মুহুর্তে স্থানীয় হাসপাতালে কোয়ার্যান্টিন আটসাট হয়ে পড়বে।
তবে এলাকাবাসীর দাবী
মেনে ভিনরাজ্য সহ কলকাতা ফেরত শতাধিক শ্রমিকের কোয়ারান্টিনে রাখার ব্যবস্থা করল গ্রাম খরবার প্রধান সহ সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্যগন।
করোনা মহামারিতে রাজ্য সরকারের তরফে স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষনা হয়েছে। তাই জিপি এলাকার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক স্কুল গুলিকে কোয়ারান্টিন করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
খরবা জিপির প্রধান পারভিন খাতুন জানান, ইতিমধ্যেই নৈকান্দা,আশাপুর ও খরবা প্রাথমিক স্কুলে কোয়ারান্টিন করা হয়েছে তিনটি স্কুলে। মোট ৫০ জন ভিন ফেরতদের এই মুহূর্তে আনা হয়েছে উদ্যোগীরা জানান। তবে লকডাউন চলাকালীন বাইরে থেকে কোনো শ্রমিক আসলে হাসপাতালে স্বাস্হ্য পরীক্ষা করে সোজা কোয়ারান্টিনে আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। স্কুলে বন্দীদের তিনবেলা খাওয়ার ব্যবস্হা করা হয়েছে। খরবা পঞ্চায়েতের তরফে চাল,ডাল ও আলুর জোগান দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। এছাড়াও এলাকাবাসীও চাঁদা তুলে রান্নার জন্য আর্থিক জোগান দিচ্ছে বলে প্রধান জানায়। সময় স্কুল গুলিতে তিনবেলা রান্না চলতেই আছে। সামাজিক দুরত্ব থেকে ভিন ফেরতদের বিচ্ছিন্ন রাখায় উদ্যোগক্তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। তবে খরবা পঞ্চায়েত এলাকার এই উদ্যোগ সারা ফেলেছে চাঁচল ব্লক জুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করে অন্যান্য পঞ্চায়েত এলাকাবাসী খরবাবাসীর মতোই ভিন ফেরতদের জন্য কোয়ারান্টিনের দাবী জানিয়েছেন নিজ নিজ প্রধানের কাছে। তবে তা সাড়া ফেলবে কি ব্লকজুড়ে সামাজিক দুরত্বের অপেক্ষায় রয়েছেন বহুজন।