|
---|
শেখ আতিউল্লা, চন্ডীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর : থ্যালাসেমিয়া মুক্ত দেশ গড়তে আমাদের পরের প্রজন্ম কে সুস্থ রাখতে নন্দীগ্রাম কলেজ উদ্যেগে থেলাসেমিয়া পরিক্ষা শিবিরের আয়োজন করেন ৷ এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন কলেজের অধ্যক্ষ মহাশয় ৷ দুপুর ১ থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে চলতে থাকে আলোচেনা ৷ থ্যালাসেমিয়া কী বা কী কারণে হয় বা ক্ষতিকর প্রভাব সমস্ত কিছুর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোকপাত করলেন। এছাড়াও কলেজের অধ্যক্ষ বলেন ,থ্যালাসেমিয়া আসলে রক্তের একটি রোগ যা সাধারনত বংশগতভাবে ছড়ায়। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর রক্তে হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতি কম থাকে এবং আক্রান্তের শরীরের রোগ প্রতিরধ ক্ষমতা কমে যায়। মৃদু এবং তীব্র- এই দুইরকমের থ্যালাসেমিয়া হতে পারে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে এই রোগ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রায় ১ লক্ষ শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রোগ। সাধারনত জিনে কম হিমোগ্লোবিন থাকার কারণে থ্যালাসেমিয়া হয়। বাবা এবং মা উভয়ের অথবা বাবা অথবা মা যেকোনো একজনের থ্যালাসেমিয়া থাকলে, এটি সন্তানের মধ্যে ছড়াতে পারে।
কলেজের শিক্ষকগন আমাদের প্রতিনিধি শেখ আতিউল্লাকে জানান যে , রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা, লোহিত রক্ত কণিকার আকারের পরিবর্তন, বিবর্ণ লোহিত রক্ত কণিকা, লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিনের অসম থাকা, শিশুর রক্তে আয়রণ ও লৌহের পরিমাণ, হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ইত্যাদি জানা যায়। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর থ্যালাসেমিয়া আছে কিনা অথবা রোগী ত্রটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিন জিন বহন করছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়। গর্ভস্থ সন্তানের থ্যালাসেমিয়া আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য কোরিওনিক ভিলিয়াস স্যাম্পলিং, এ্যামনিওসেনটিসিস, ফিটাল ব্লাড স্যাম্পলিং ইত্যাদি পরীক্ষা করা যেতে পারে। থ্যালাসেমিয়া আছে বা হতে পারে এরূপ সন্দেহ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করতে হবে। জনসাধারণ সহ কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এই উদ্যেগ ৷ পরবর্তীতেও আরো বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে সচেতনতা দেবে বলে জানিয়েছেন কলেজ কতৃপক্ষ ৷