বেতাল কংগ্রেসের অধীর, মুলায়মের সেতারে সুর তোলার আগেই বিজেপি বিরোধী জোটের সুর সপ্তমে বেঁধে দিলেন মমতা।”

 

    শরীফুল ইসলাম, নতুন গতি

    যুদ্ধ আর ভালোবাসায় সবই বৈধ। তবে ভালোবাসা হওয়া চায় আন্তরিক। নয়তো মন ভেঙে যায়। বিতর্ক-বিবাদ, সন্তোষ-অসন্তোষ আর আশা-ভরসার আবহের মধ্যেই কেটে গেল ষোড়শ লোকসভার শেষ দিন।

    এদিন, সংসদ-অভ্যন্তরে অর্থলগ্নী সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা বিল পেশ হয়। তৃণমূল সাংসদরা একত্রিত হয়ে ওয়ালে দাঁড়িয়ে ‘মোদি-বিজেপি’ বিরোধী পোষ্টার হাতে স্লোগান দিতেই অধীরের নেতৃত্বে সিপিএম-কংগ্রেস যৌথ ভাবে চিট ফান্ড কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কে বিঁধে হল্লা শুরু করে দেন। কংগ্রেস-সিপিএমের যৌথ বিক্ষোভের মুখে প্রায় হতভম্ভ হয়ে পড়েন তৃণমূলের সাংসদরা। প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপির সাংসদরা বিষয়টি উপভোগ করতে থাকেন। সোনিয়া গান্ধী ব্যাপারটার প্রতিবাদ না করে উল্টে টেবিল চাপড়ে সমর্থন করতেই আগুনে যেন ঘি পড়ে।

    ইতিমধ্যে,সোনিয়া গান্ধীর পাশে বিরোধী মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য সমাজবাদী নেতা মুলায়ম সিং যাদব বলেন, “শুভেচ্ছা রইলো মোদিজী। প্রধানমন্ত্রী আপনিই হবেন।”

    বিশ্বস্ত সূত্রে সেন্ট্রাল হলে বসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতার কানে সব পৌঁছে যায়। রীতিমতো তেতে ছিলেন। সোনিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সোনিয়া বলেন, “এমন তো হয়েই থাকে।”
    বন্ধুত্বের অজুহাত এনে সোনিয়ার কথায় চিরে ভেজেনি। ক্ষুব্ধ মমতা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, “সব মনে রাখবো।”

    পরে , কেজরিবালের ডাকা ধর্ণা মঞ্চে আনন্দ শর্মার মদ্ধস্থতাই মমতার রাগ সম্ভবত প্রশমিত হয়। বেলা শেষে ধর্ণা মঞ্চেই তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, “বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করতে হয়।”
    বিজেপি বিরোধী জোটের ভবিষ্যৎ রণনীতিও তিনি এদিন ঘোষণা করেন। বলেন, “যে যেখানে ক্ষমতায় আছে, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেখানে তাঁর হাত মজবুত করতে হবে।”
    রাজ্যে তাঁর লড়াই অবশ্য সিপিএম- কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে এবং সেই লড়াইয়ে তিনি অভ্যস্ত সে ইঙ্গিতও দিয়ে রাখেন মমতা। তবে তাঁর মূল লক্ষ্য বিজেপি কে হটানো।

    বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ১৯শে মমতার বিগ্রেড যদি সেমিফাইনাল হয়, অবিজেপি গটবন্ধনে কেজরিবালের ধর্ণা মঞ্চ নিসন্দেহে ফাইনাল বলে মনে করছেন চাণক্যপুরী।