রাজ্যে বিজেপি ছাড়ার হিড়িক অব্যাহত কোচবিহারে, মন্ত্রীর বাড়িতেই চলছে দলবদল

নিজস্ব প্রতিনিধি, নতুন গতি : লোকসভা ভোটের পরই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন যাঁরা, তাঁদের ঘরওয়াপসি চলছেই। নিয়মিত চলছে পালাবদল। বিশেষ করে কোচবিহাজুড়ে লেগেই রয়েছে দলবদল। শনিবার ফের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে এলেন শতাধিক নেতাকর্মী। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।
কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর বাড়িতেই হয় এই দলবদল। একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি ছেড়ে আসা কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় দলীয় পতাকা। মন্ত্রী নিজে তাঁদের স্বাগত জানান তৃণমূল কংগ্রেসে।

    রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নিজের কেন্দ্র নাটাবাড়ি। এই নাটাবাড়ি এলাকাতেই লোকসভা ভোটের পর ভাঙন ধরেছিল। সেই ভাঙনের পর যে ক্ষত হয়েছিল, তা খানিকটা পূরণ হল বিজেপি ছেড়ে তাঁদের অধিকাংশের ঘরওয়াপসিতে। এর আগেও একাধিক নেতা-নেত্রী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন। এদিনের এই যোগদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ছাড়াও ছিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা মন্ত্রী-পুত্র পঙ্কজ ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও। বিজেপি ছেড়ে আসা নেতারা পুরনো দলে ফিরে আসায় এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব উৎসাহিত হয়ে ওঠেন।

    বিজেপি ছেড়ে আসা নেতাদের তৃণমূলে আসার হিড়িক লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠেছে। এই দলবদল নিয়ে কোনওরকম মুখ খুলতে নারাজ বিজেপি। প্রশ্ন উঠছে, লোকসভায় জিতেও কেন বিজেপি ধরে রাখতে পারছে না সংগঠন। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বেও তা নিয়ে উদ্বেগে। এই দলবদল প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, বিজেপি সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াচ্ছে এলাকায়। এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে। মানুষ তা মেনে নিতে পারছেন না। সেই কারণে স্বল্পদিনেই তাঁদের মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই বিজেপির প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েই তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসছেন।

    তিনি বলেন বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে কোচবিহারে। বিধানসভা ভোটে তার প্রতিফলন হবে। লোকসভায় বিজেপি জিতলেও বিধানসভা কোচবিহার পুনরুদ্ধার করতে সমর্থ হবে তৃণমূল, এখন থেকেই দাবি জানিয়ে রাখলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কোচবিহারের প্রতিটি বিধানসভা আসনেই এবার তৃণমূল কংগ্রেস কর্তৃত্ব ধরে রাখতে সমর্থ হবে।