করোনা যুদ্ধে প্লাজমা দিতে স্বেচ্ছায় এগিয়ে এলেন তবলিঘি জামাতের সদস্যরা | বার্তা সাম্প্রতিক

করোনা যুদ্ধে প্লাজমা দিতে স্বেচ্ছায় এগিয়ে এলেন তবলিঘি জামাতের সদস্যরা | বার্তা সাম্প্রতিক
সঞ্জয় মুখার্জী: করোনা যুদ্ধে স্বেচ্ছায় এগিয়ে এলেন তবলিঘি জামাতের সদস্যরা । এতদিন করোনা ছড়ানোর অভিযোগে এদেরকেই  দায়ী করা হচ্ছিল । নিজামুদ্দিন মারকাজের সম্মেলনে উপস্থিত ১৪২ জামাত সদস্য কে কোয়ারেন্টাইন রাখা হয়েছিল এইমসে। তারা এখন সকলেই সুস্থ।  তারা নিজেরাই এখন দিল্লির করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য রক্ত দিতে চেয়েছে।
 করোনা প্রতিরোধে আক্রান্তদের রক্তের প্লাজমা দিয়ে এখন চিকিৎসা করার জন্য অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সাইন্স বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। ঝাঝরে অবস্থিত এইমসে এদের চিকিৎসার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে করোনা চিকিৎসা বিষয়ক কমিটির চেয়ারপারসন ডক্টর সুষমা ভাট নগর জানিয়েছেন, করোনা বিরুদ্ধে যুদ্ধে এই প্লাসমা থেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অস্ত্র। আক্রান্তদের শরীরের রক্ত থেকে সংগ্রহ করে এটির মাধ্যমে চিকিৎসা করলে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাফল্য আসছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের প্রয়োজন আক্রান্তদের রক্তের প্লাজমা। আমাদের এখানে একটি এই নিয়ে প্রস্তুতি চলছে । আক্রান্তদের শরীর থেকে সেরে ওঠার দুই সপ্তাহ পর প্লাজমা সংগ্রহ করতে হয়।
ডক্টর ভাটনগর জানিয়েছেন, ১৪২ জন জামাত সদস্যের প্রত্যেকে স্বেচ্ছায় প্লাজমা দিতে এগিয়ে এসেছেন। এই বিষয়ে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে জানানোর পর তারা সরকারিভাবে জানান, প্লাজমা দিয়ে কিংবা যেভাবেই হোক এই করোনা যুদ্ধে তারা যদি দেশের মানুষের উপকারে এগিয়ে আসতে পারে তার জন্য তারা প্রস্তুত। একথা জানবার পর কোয়ারেন্টাইন থেকে তাদেরকে অন্যত্র কোথাও রাখার একটা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দু সপ্তাহ পর তাদের রক্ত থেকে প্লাজমা নিতে হবে। এদের বেশিরভাগই দিল্লির বাইরের মানুষ। অনেকেই বিদেশ থেকে এসেছেন। এইমস এর পক্ষ থেকে এখন এনাদের   কোনো বিশেষ জায়গায় রেখে সময়মতো প্লাজমা সংগ্রহের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ডক্টর ভাটনগরের কথায়, এতগুলি মানুষের প্লাজমা একসঙ্গে পাওয়া গেলে প্লাজমা থেরাপি নিয়ে তাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে যাবে