সত্যি কি সেফ পশ্চিম বঙ্গ

সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়
প্রথম পর্ব
সত্যিই কি আমরা পশ্চিমবঙ্গে সেফ নই? অন্যান্য রোগে মৃত বলে গোনা হবে কিনা সেই বিতর্ক না হয় বন্ধ থাক, ধরে নিচ্ছি তারা করোনাতেই  মৃত, এবং এটাও ধরে নিচ্ছি বিরোধীরা যা বলছিলেন হয়তো সেটাই ঠিক।  তাহলেও প্রশ্ন আছে । সব মিলিয়ে ও যদি ধরা হয় তবুও কি বলা যায়,
এই রাজ্যে  সত্যিই আমরা নিরাপদ নই?  তাহলে মহারাষ্ট্র গুজরাট বা দিল্লি ? যেখানে শত শত মানুষ মৃত;! প্রতিদিন যেখানে শত শত মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। তার তুলনায় তো পশ্চিমবঙ্গ অনেক ভালো অবস্থায় আছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই কথা বলেছে যখন তারা রাজ্যকে যথেষ্ট সংখ্যক কিটস দিতে পারছে না, সেই সময় তাদের বক্তব্য ছিল, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা অনেক ভালো।তাই যাদের অবস্থা খারাপ সেখানেই সবার আগে কিটস পাঠানো দরকার।
তাহলে কি কিটস পাঠানোর প্রশ্ন হলে পশ্চিমবঙ্গ ভালো?
আর মৃতের সংখ্যা ঠিকভাবে দেখানো হচ্ছে না মনে হলে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খুব খারাপ?
কেন?  ঠিক ভাবে দেখানো হলে কি দেশের সবচাইতে বেশি মৃত এরাজ্যে হত? নিশ্চয়ই না। সেটাও কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য প্রমাণ করছে। কাল পর্যন্ত যদি সাতান্ন ধরে নেওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গের মৃত, তা হলেও পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা সর্বভারতীয় হিসেবে অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় যেখানে ছিল সেখানেই থাকছে। না এক ধাপ উপরে উঠছে না একধাপ নিচে নামছে।
তাহলে অহেতুক পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে আতঙ্ক দেখানোর কারণ কি?
তাহলে বাস্তবটা নিরপেক্ষভাবে দেখা হোক। কেন্দ্রের মাপকাঠিতেই মেপে দেখা যাক।, সব মিলিয়ে কাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে  কেন্দ্রীয় সরকারের মাপকাঠি অনুযায়ী ধরলেও করোনা মহামারীতে মৃত ৫৭। আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হয়েছে কাল পর্যন্ত ৩৮৫ জন। সন্দেহ থাকায় হসপিটালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে আলাদা করে রাখা হয়েছে  ২৬৮ জনকে। অন্য রাজ্যের দিকে তাকিয়ে দেখুন। সেখানে এক মাস লকডাউন চলার পরেও মহারাষ্ট্র গুজরাট দিল্লি রাজস্থান তামিলনাড়ু মধ্যপ্রদেশ উত্তরপ্রদেশে রোজ আক্রান্ত হাজারে হাজারে।  দেশের করনা আক্রান্ত প্রথম দশটি রাজ্যের মধ্যে ও এ রাজ্য নেই।তাহলে কি এই স্লোগানটা তোলা উচিত যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ নিরাপদ নয়? হ্যাঁ রোজা মাসে যে  কলকাতা শহরের ৮০% এলাকা এবং হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এলাকায় এলাকায় বাঁশ দিয়ে একটার পর একটা এলাকা ও রাস্তা ঘিরে দেওয়া হয়ে গেছে । তবুও পরিস্থিতি কিন্তু অন্যান্য রাজ্যের থেকে অনেক ভালো। এটাও জানা দরকার এই রাজ্যের মানুষের।একথা কিন্তু রাজ্য সরকারকে সমর্থন করে বলছি তা নয়। রাজ্যের মানুষের মধ্যে যাতে  অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানো না হয় সেই স্বার্থে বলছি।
এই ভাবে আতঙ্ক তৈরি হলে সবচেয়ে ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এতে শাসক তৃণমূলের ক্ষতি হচ্ছে কতটা সেটা আমার আলোচ্য  নয়, কোন রাজ্য সরকারের  পক্ষে ওকালতি করাও আমাদের কাজ  নয়। কিন্তু এটা ভেবেই বলছি যে এমন ভাবনা যত মনের মধ্যে গেঁথে বসবে রাজ্য বাসী তত আতঙ্কিত থাকবে। লক ডাউন উঠে যাওয়ার পরও তারা চিন্তায় থাকবে । নিজেকে গতি সীমিত রাখবে গন্ডির মধ্যে যার পক্ষে যতটা সম্ভব। তাতে অর্থনৈতিক কাজকর্ম অনেক কম হবে। যেটা ক্ষতিগ্রস্থ করবে সাধারণ মানুষকে।আস্থাহীন পরিবেশে মানুষ যতটা পারবে নিজেকে বাড়িতেই রেখে দেওয়ার চেষ্টা করবে। তাতে আরো বেশি অর্থনৈতিক কাজকর্ম কম হবে। আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে যাবে মানুষ আতঙ্কে।এসব নিয়ে হচ্ছে সম্ভবত বর্তমান রাজ্য সরকারও সচেতন নন।তাই তারা এই সমস্ত পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন পুলিশি ব্যবস্থা নেন না। বিরোধীদলগুলো সচেতন নন।তারা ভাবছেন যে রাজ্য সরকারের অপদস্থ হওয়া মানে রাজনৈতিকভাবে তাদের এগিয়ে থাকা। কিন্তু উভয়েরই বোঝা উচিত,এই সময় তাদের ভোট প্রচারের সময় নয় । প্রয়োজন এসব কথা পরেও বলা যাবে।এইসব  পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে অনেক বেশি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।মানুষ আতঙ্কিত হচ্ছে আরো বেশি।
বরং মানুষকে আতঙ্ক দূর করবার জন্য এই মুহূর্তে রাজ্যের সকল রাজনৈতিক দলের দায় আছে। কর্তব্য আছে। এমনভাবে কথা বলার দরকার যাতে মানুষ সত্যিটা জানতে পারে এবং পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে আস্থা রাখতে পারে। তাই করোনা মৃত্যু তে সঠিক সংখ্যা সঠিকভাবে জানানোটা হলে মানুষ যেমন আশ্বস্ত হয়,তেমনই সংখ্যার রাজনীতি না করে বিরোধীদের ও উচিত রাজ্য সরকারের পাশে এসে দাঁড়ানো। তাহলেই সমগ্র রাজ্যবাসী উপকৃত হতে পারে। এত বড় বিপদের সময় দলাদলির রাজনীতি কখনোই অভিপ্রেত নয়।
কিন্তু এই রাজ্যে হচ্ছে তার বিপরীত কোভিড প্রতিরোধে রাজ্য সরকার, রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের মধ্যে টানাটানিতে রাজ্যের মানুষের মনে চরম বিভ্রান্তি এবং অনাস্থা তৈরী হচ্ছে।
রাজ্যপালের কথায় মনে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তার উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্য সরকার যেগুলি বলছে তাতে মনে হচ্ছে রাজ্যপাল  কেন্দ্রের হয়ে রাজনীতি করছেন। আর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে দেখে মনে হচ্ছিল, তারা যেন একটি নির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে এসেছেন এই রাজ্যে।
সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, রাজ্যবাসীকে করোনা মহামারী থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য  এর কোনো কিছুই  না। সামনের একুশের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে যেন রাজনৈতিক মহড়া চলছে— যেখানে রাজ্যবাসীর প্রাণের দাম কম, ভোটের দাম বেশি। তাই এমন সংকটপূর্ণ সময়েও সর্বশক্তি দিয়ে সকলে একমত হয়ে রাজ্যবাসীর সেবায় কাজে কি করে লাগবে তাই নিয়ে কোনো আলোচনা নেই।তার বদলে  পরস্পর তর্কযুদ্ধ এবং রাজনৈতিক হাওয়া তোলার কাজে ব্যস্ত। সাধারণ মানুষের জীবন , জীবিকা চরম উপেক্ষিত, শুধু সেই সব কথা নাম কা ওয়াতে উল্লেখ করা হচ্ছে পরস্পরকে দোষারোপ করা উদ্দেশ্য।লক্ষ্য আগামী একুশের ভোট।
যেমন রাজ্যের রাজনীতি, তেমনিই সেই রাজ্যে মানুষ থাকে একদল।রাস্তায় নেমে করোনা প্রতিরোধে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াবার কাজ না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বসে  দিনরাত পোস্ট করা, ভাইরাল করে মানুষের মধ্যে আরও বেশি আতঙ্ক এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করা উদ্দেশ্য। এমন পোস্ট ছাড়া হচ্ছে, ভাইরাল করা হচ্ছে, যেখানে  লেখা ,” আমি এই রাজ্যে নিরাপদ নই” ( I am not safe in West Bengal)
কার উদ্দেশ্যে কেন এ কথাগুলো বলা হচ্ছে?
কেন এভাবে মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করার জন্য এই পোস্ট যারা ছাড়ছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় না? দেশে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট এখন জারি আছে। সেখানে এরকম বিধান আছে। আইন আছে অথচ আইন মোতাবেক করবার জন্য সরকার নেই। শুধু কোভিডের চিকিৎসা   একমাত্র দিক নয়। রোগে মৃতের মহামারী চাইতেও  আতঙ্কের মহামারীর গুরুত্ব কম নয়।স্রেফ বাড়িতে বসে কত মানুষ বিপন্নতার শিকার হচ্ছে , সেটার দিকে ও  নজর রাখতে হবে সরকারকে। এমন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। সরকার সেসব দিকে না তাকিয়ে শুধুমাত্র কোভিডের নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত থাকলে ,রাজ্যে ছড়িয়ে যাবে অনেক বেশি আতঙ্কের মহামারী। সে সব বন্ধ করতে এখনই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দল এবং নাগরিক সমাজ সকলেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুক।
এত বড় বিপদেও কি রাজনীতিটা বন্ধ করা যায় না?
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রাজ্য সরকার  অনেক কিছুই করতে পারত। সেগুলো তারা করে উঠতে পারে নি। এই অভিযোগ শুধু পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার সম্পর্কে নয়, একই অভিযোগ করা যায় সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। বহু প্রমাণ সহ। একই অভিযোগ করা যায় দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে সম্পর্কেও।  সারাদেশ থালা বাজাচ্ছিল  যখন সেই সময় দেশের মানুষকে পরীক্ষা করবার জন্য কোন কিটস রেডি ছিল না। তাহলে তার দায় কি কেন্দ্র বা অন্য রাজ্যগুলি এড়াতে পারে?
আসলেই এই  ভয়ঙ্কর সময়টা সকলের কাছেই  অভূতপূর্ব । এমন সংকটের মুখোমুখি আগে কেউ কখনো হয় নি।তাই  বিশ্বের সব দেশের সরকারের সমালোচনা করবার মতন বহু পয়েন্ট সামনে আছে।এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমালোচনাও শুরু হয়ে গেছে। আমাদের দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক বা আই সি এম আর এর সমালোচনাও করা যায়।কিন্তু এসবের কোনোটাই  ঠিক না।
সমালোচনা করে মুক্তি পাবার রাস্তা খোঁজার সময় মহামারী নয়। এভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে না। বরং এতে আরো বেশি সংশয় সৃষ্টি হবে। তাতে রাজ্যবাসী মানুষের ক্ষতি হবে। সামাজিক আরো বাড়বে ক্ষতি।মহামারীতে একটি সামাজিক ক্ষতি কতটা হতে পারে সেটা রাষ্ট্র এখন অনুমান করতে পারবে না। মহামারীর পর বোঝা যাবে এই ক্ষতিটা কত গভীর । এই ক্ষতি সামাল দিতে গেলে অনেক বছর পিছিয়ে যেতে হবে। সতর্ক থাকা উচিত এই দিকটি নিয়ে।
এই সময় কি করে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায় তাই নিয়ে ভাবা উচিত। পরস্পরের মধ্যে  সমালোচনা এবং রাজনৈতিক তরজা একেবারেই উচিত নয় । খুবই ঘৃণ্য মনোবৃত্তি সেটা। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে রাজ্যে একটি প্রশাসনিক নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে। যেহেতু গণতান্ত্রিক, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কখনো আশা করা যায় না যে তারা মুখ বন্ধ করে থাকবে। তবে এটা প্রত্যাশা করা যায় যে এই সময়টায় সকল দল রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াবে।এবং এই ধরনের ঘৃণ্য প্রচারের বিরুদ্ধে মানুষকে আস্থা দিতে তারাও বিবৃতি দেবে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।  বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটি সর্বদলীয় কমিটি গঠন করা হোক। সেখানে  রাজ্য সরকার এক্সপার্ট কমিটির পরামর্শ তাদের জানাক। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।  সংবাদমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে যায় একটি সম্মিলিত বার্তা । তাহলে রাজ্যবাসী অহেতুক বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তার হাত থেকে মুক্তি পাবে।
রাজ্যের বিরোধী দলগুলিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। রাজ্য সরকারের  কাজের ত্রুটিগুলো দেখিয়ে দেওয়া দরকার। বিরোধীরাই  সেটা দেখাবেন। তার মানে এই নয় যে তারা সহযোগিতা করছেন না, এই দৃষ্টিভঙ্গি তাও বদল করা দরকার রাজ্য সরকারের। তেমনি পাশাপাশি  ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে  ত্রুটি দেখানোর বদলে রাজ্যের টিভি চ্যানেলগুলোতে এসে  কুৎসা ছড়ানোর রাজনীতিতে ব্যস্ত । তারা ভুলে গেছেন যে তাদের এখন দাঁড়ানো উচিত রাজ্য সরকারের পাশে।কথা বলা উচিত দলীয় ভোটের হিসেব ভুলে। মানুষের স্বার্থে রাজ্যবাসীর কল্যাণের জন্য রাজ্য সরকারের কাজ নিয়ে হোক বা বিকল্প প্রস্তাব তারা পেশ করুন।সেটার জন্য রাজ্যপাল নিজে উদ্যোগ নিতে পারেন। কিন্তু রাজ্যপাল যেভাবে  সরকারের সমালোচনা করছেন গণমাধ্যমে, সেটা কাঙ্ক্ষিত নয় । একই ভাবে রাজ্য সরকারকেও  নমনীয় ভাবে সসম্মানে  রাজ্যপালের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া উচিত, বিরোধীদেরকে ও সসম্মানে আমন্ত্রণ জানাতে হবে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ খুব বম প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি বৈঠক হয়েছিল।তাতে একটা এই ধরনের বার্তা আমাদের কাছে পৌঁছে ছিল মানুষের কাছে। ডিসি গঠনমূলক সহযোগিতার পরিবেশে তারপরেই হারিয়ে যাচ্ছে কেন সেটা ভাবা দরকার।  সর্ব সাধারণের  স্বার্থেই  দলগুলোর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর করে এই মহামারীতে একত্রিত রাজনৈতিক উদ্যোগ খুব জরুরি।
সকল দলকে বুঝতে হবে, রাজ্যের ক্ষমতায় কে থাকবে তার হিসাব কষার সময় এটা নয়।  বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজ্যবাসীর স্বার্থে সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতির কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে গঠনমূলক পরামর্শ দিয়ে রাজ্যবাসীকে উপকৃত করুক।আর রাজ্য সরকার এক্সপার্ট কমিটির মতন একটি সর্বদলীয় কমিটি তৈরি করুক। প্রকাশে সরকারের সমালোচনার পরিবর্তে সেখানে সরকার গৃহীত পদক্ষেপগুলি কতটা মানুষের কাজে লাগছে তাই নিয়ে আলোচনা হোক।  প্রয়োজনে যৌথ মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।  রাজ্যবাসীর স্বার্থে সকল পক্ষের  কাছে সহযোগিতামূলক দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি। তাহলে রাজ্যবাসী অনিশ্চয়তার হতাশাও বিভ্রান্তির হাত থেকে মুক্তি পায়।
এই সব কিছুই দরকার রাজ্যবাসীর স্বার্থে