|
---|
মালদা: মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক সহ 3 জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিল আদালত। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া সংক্রান্ত এক ব্যক্তির সাথে বিবাদের জেরে আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।
মালদার বাসিন্দা গৌতম ঘোষের অভিযোগ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের 14 তারিখ পেশায় রেলকর্মী তার এক আত্মীয় মালদা শহরের সুভাষপল্লী এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত অসুস্থ হয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শাররীক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আর এর জন্য উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর এমপি কোটার টাকায় দেওয়া মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন তিনি। ভাড়া বাবদ প্রায় 22 হাজার টাকা ধার্য হয়। এরপর সেই এম্বুলেন্স নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে ওই রোগীকে নিয়ে রওনা হন তিনি এবং বাকি আত্মীয়রা। কিছুদূর কালিয়াচক যেতেই রোগীর অবস্থা খারাপ হয়। এই অবস্থায় রোগীকে আবার ঘুরিয়ে এনে মালদা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মালদা থেকে কালিয়াচকের দূরত্ব মাত্র 27 কিলোমিটার। এই অবস্থায় রোগী সুস্থ হয়ে উঠলে তিনি ওই রোগীর আত্মীয়রা চেম্বার অব কমার্সের গিয়ে বলেন যে 22000 টাকা তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে তাতে কিছুটা ফেরত দেওয়া হোক। প্রয়োজনে হাফ ভাড়া ফেরত দেওয়া হোক। কারণ সামান্য কিছু কিলোমিটার তারা গিয়েছিলেন। কিন্তু চেম্বার অফ কমার্স এর পক্ষ থেকে জানানো হয় 5000 টাকা ছাড়া হতে পারে বাকি টাকা ছাড়া সম্ভব নয়।এরপর তিনি কোন সুরাহা না দেখত পয়ে ইংরেজবাজার থানা ও জেলার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেও কোন লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে এবার আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
তার আইনজীবী বিনয় সরকার জানান,আদালত সমস্ত অভিযোগ শুনে মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু সহ আরও দু’জনের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানা কে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে।
অসুস্থ রোগী বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত বলেন তাদের সাথে যা হয়েছে খুবই নক্কারজনক ঘটনা।এই অ্যাম্বুলেন্সটি সমাজসেবামূলক কাজের জন্য এমপি কোটার টাকা থেকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তার অভিযোগ।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু। তিনি বলেন নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই ভাড়া নেওয়া হয়েছে।এই এম্বুলেন্স কর্মাশিয়াল স্বার্থে ব্যবহার হয় না।যা করা হয়েছে চেম্বার অব কমার্সের এক্সিকিউটিভ বডিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে করা হয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।
গোটা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।যুব তৃনমূলের সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস বলেন বিজেপি ব্যবসায়ীদের টাকার অ্যাম্বুলেন্স ও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছ ওটা ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার হচ্ছে।
বাইট ১ গৌতম ঘোষ, অভিযোগকারী. ২ বিশ্বজিত সেন গুপ্ত, অসুস্থ রোগী, ৩ বিনয় সরকার ,আইনজীবী ৪ জয়ন্ত কুন্ডু, সম্পাদক মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স, ৫ খগেন মুর্মু, সংসদ উত্তর মালদা, ৬ প্রসেনজিৎ দাস, যুব তৃণমূল সভাপতি.