শিবরাত্রি উপলক্ষে শান্তিপুরের জলেশ্বর মন্দিরে প্রচুর ভক্তবৃন্দের ভিড়

নদীয়া: আজ মহা শিবরাত্রি। এই শিবরাত্রি উপলক্ষে শান্তিপুরের বহু প্রাচীন শিব মন্দির অর্থাৎ জলেশ্বর মন্দিরে প্রচুর ভক্তবৃন্দের ভিড়। জানা যায় এই মন্দিরটি স্থাপিত হয়েছিল ১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দে, এই শিব মন্দিরটি মোট তিনটি নামে নামকরণ হয়। প্রথমে মন্দিরটির নামকরণ হয় রাঘবেশ্বর মন্দির, তারপরে রুদ্রেশ্বর মন্দির, তার বেশ কয়েক বছর পরে মন্দিরটির নামকরণ হয় জলেশ্বর মন্দির।

    শান্তিপুরের সবথেকে প্রাচীনতম এই শিব মন্দিরটি, প্রত্যেক বছরই শিবচতুর্দশী উপলক্ষে এই মন্দিরে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। শিবচতুর্দশী পড়া মাত্রই খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের মূল দার, এরপর থেকে শুরু হয় শিবরাত্রি উপলক্ষে আরাধনা। শুধু শান্তিপুর থেকেই নয় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ উপবাস থেকে এই মন্দিরে আসে শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য। গত দু’বছরে করোনা আবহের কারণে ভক্তবৃন্দের আনাগোনা অনেকটাই কম ছিল, এবছর সবকিছু স্বাভাবিক হতেই ভক্তবৃন্দ দের অনেকটাই আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

    মন্দিরের পুরোহিত জানান আজ ভোর চারটা থেকে ভক্তবৃন্দ রা আসা শুরু করেছে মন্দিরে। এ বেলায় একটু ভিড় কম হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে যথেষ্টই ভিড় হবে বলে অনুমান করছেন পুরোহিত। মঙ্গলবার সকাল থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার, প্রচুর ভক্তবৃন্দ উপবাস করে সকাল-সকাল গঙ্গা স্নান করে পৌঁছেছেন মন্দিরে। এছাড়াও সকাল থেকেই চলছে পূজা পাঠ, দফায় দফায় শিবের মাথায় জল ঢালছেন ভক্তবৃন্দরা। মূল মন্দিরের সামনে আছে একটি নাটমন্দির, যেখানে ভক্তবৃন্দরা বিশ্রাম নিতে পারবেন। পুরোহিত জানান অনেকেই আছে নিজেদের মনস্কামনা পূরণের জন্য ভগবান শিবের কাছে মানত করে, অনেকেরই মনস্কামনা পূর্ণ হয়েছে। তাই প্রতি বছরই ভক্তবৃন্দ দের ভির আরো বাড়ছে।