ছট পুজোতেও ভক্তদের ভিড় দেখা গেল পূর্ব বর্ধমান জেলার সদরঘাটে

নিজস্ব সংবাদদাতা : হিন্দি ভাষীদের সবথেকে বড় উৎসব হল ছট পুজো। আমরা সবাই জানি শীতকালে অর্থাৎ কার্তিক মাসে ছট পুজো হয়ে থাকে। সন্ধ্যেবেলা ঘাটে যান ভক্তরা, তার পরের দিন ওই ঘাটে গিয়েই সমাপ্তি হয় এই ছট পুজোর। কিন্তু চৈত্র মাসে একইভাবে হয়ে থাকে ছট পুজো। কার্তিক মাসে যে ছট পুজো হয়, সেই পুজো ছোট মায়ের পুজো বলে পরিচিত। আর চৈত্র মাসে অর্থাৎ এই সময় যে পুজোটি হয় সেই পুজোটি বড় মায়ের পুজো বলে কথিত আছে।

    কার্তিক মাসের মতো একইভাবে নিয়ম বিধি মেনে হয়ে থাকে এই চৈত্র মাসের ছট পুজো। পার্থক্য একটাই থাকে, চৈত্র মাসের ছট পুজো সবাই করে না কারণ এই ছট পুজো অনেকটাই কষ্টকর বলে মনে করেন অনেকেই। কারণ চৈত্র মাসে কাঠফাটা গরম, আর এই গরমে সব নিয়ম সম্পূর্ণ ভাবে পালন করতে হয় ভক্তদের, ফলে অনেকেই চৈত্র মাসে ছট পুজো করেন না। বিশেষ করে যারা মানসিক করে থাকেন এই চৈত্র মাসের ছট পুজো তারাই বেশির ভাগ করেন। ছট মায়ের পুজোর মতো বড় মায়ের পুজোতেও ভক্তদের ভিড় দেখা গেল পূর্ব বর্ধমান জেলার সদরঘাটে। বৃহস্পতিবার বিকালে শুরু হয় ছট পুজো। আর শেষ হল শুক্রবার সকালে।উল্লেখ্য, ছট পুজোয় কোনো মূর্তি উপাসনার স্থান নেই। এতে ডুবিত এবং উদিত সূর্যকে পুজো করা হয়। পুজোর দুদিন আগে লাউ ভাত এবং একদিন আগে খির ভাত খাওয়ার সঙ্গে ৩৬ ঘণ্টার এক কঠোর ব্রত পালন করতে হয়। রামায়ণ এবং মহাভারত দুয়েতেই ছট পুজোর উল্লেখ রয়েছে। সূর্য বংশের সন্তান হওয়ার কারণে শ্রীরামচন্দ্র নিয়মিত ছট পুজো করতেন। বনবাস কাটিয়ে অযোধ্যা ফেরার সময় রাম ও সীতা সূর্য দেবের উদ্দেশ্যে পুজো ও উপবাস করেন। সেই থেকেই ছট পুজোর সূচনা বলে মনে করা হয়। আবার মহাভারত অনুযায়ী সূর্যদেব ও কুন্তীর পুত্র কর্ণ। কথিত আছে, কর্ণ এই সময় সূর্যের আলোয় আবক্ষ জলে দাঁড়িয়ে দরিদ্রদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করেছিলেন। আবার নিজেদের রাজ্য ফিরে পাওয়ার জন্য দ্রৌপদী ও পাণ্ডবরাও এই পুজো করেছিলেন বলেও কথিত আছে।