এক গ্রামের সিএসপি অন্য গ্রামে চলছে অবৈধভাবে, প্রতিবাদে এবার ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: মহম্মদ নাজিম আক্তার, মালদা: সিএসপির দাবিতে এবার স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন এলাকাবাসীর।সেই বিক্ষোভে উপস্থিত শাসক দলের নেতা,জনপ্রতিনিধিরাও ।ভোট বয়কটের ডাক দিতেই নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূল।

    উল্লেখ্য, মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জালালপুর গ্রামের বাসিন্দারা কয়েক দিন আগে স্টেট ব্যাংকের সিএসপি খোলার দাবিতে বিক্ষোভ এবং পথ অবরোধ করেন।অভিযোগ, দুই বছর আগে জালালপুর গ্রামে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বারদুয়ারী শাখার অধীনে একটি সিএসপি খোলার কথা বলা হয়।সে অনুযায়ী লোকেশন কোড বের হয়।কিন্তু সিএসপির লোকেশন জালালপুর দেওয়া থাকলেও সিএসপি হোল্ডার অসীম সিংহ অবৈধভাবে ওই সিএসপি বারদুয়ারী এলাকায় চালাচ্ছেন। কিন্তু ওই গ্রাম থেকে ব্যাংকের দূরত্ব প্রায় ১২-১৪ কিলোমিটার। ফলে ব্যাংকের কাজকর্ম করতে চূড়ান্ত ভুগান্তির সম্মুখীন হতে হয় গ্রামবাসীকে।

    সেই প্রতিবাদেই তাদের গ্রামের নামের সিএসপি যাতে তাদের গ্রামেই চলে সেই দাবি তুলে কিছুদিন আগে পথ অবরোধ করা হয়। সেখান থেকে এলাকাবাসীরা হুমকি দিয়েছিলেন যে অবিলম্বে সমস্যার সমাধান না হবে আরোও বৃহত্তর আন্দোলনে নাম হবে। সাথে দিয়েছিলেন ভোট বয়কটের ডাক। আজ আবার সেই দাবিতেই হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের বারদুয়ারী স্টেট ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ দেখাল এলাকাবাসী। তাদের দাবিকে সমর্থন করে বিক্ষোভে সামিল হলেন স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য এবং তৃণমূল নেতারা।আজও বিক্ষোভ থেকে দাবি তোলা হয় অবিলম্বে সমস্যা সমাধান করার।ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। এলাকাবাসীর ভোট বয়কটের ডাক দিতেই যেন নড়েচড়ে বসেছে শাসক দল।

    স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য উজির হোসেন বলেন, গ্রামবাসীদের দাবি যুক্তি সঙ্গত।কিছুদিন আগেও তারা যখন পথ অবরোধ করে আমি তাদের আশ্বাস দিয়েছিলাম।জালালপুরের সিএসপি জালালপুরে খোলার দাবিতে আজ আবার তারা ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন।আমি সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথেও কথা বলব।

    তারিকুল ইসলাম নামে ওই গ্রামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, কিছুদিন আগে রাস্তা অবরোধ করেছিলাম।কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোনো সারা দেয় নি।তাই আজ ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছি। আমাদের গ্রামের সিএসপি অন্য জায়গায় চলছে আর আমরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। দ্রুত সমাধান না হলে আগামী বিধানসভা ভোট বয়কট করা হবে।
    এবার শাসক দলের জনপ্রতিনিধি কতদিনে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তাদের এই সমস্যার সমাধান করবেন সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে।