|
---|
রৌশন আলম,চোপড়া,নতুন গতি: শনিবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চুতরাগছে এক সদ্য মাধ্যমিক উত্তীর্ণ নাবালিকার মৃত্যু দেহ উদ্ধার হওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চোপড়া। অভিযোগ ওঠে ধর্ষন করে খুন করা হয়েছে। এরপর রবিবার শুরু হয় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। তিনটি সরকারি বাস ও পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শুন্যে গুলি চালায় এবং বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।
অভিযোগ ওঠে মাম্পি সাহাকে স্থানীয় যুবক ফিরোজ আলি অপহরণ করে ধর্ষন করে খুন করে। রাতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে তরুনীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘খুন বা ধর্ষণের কোন চিহ্ন ওই ছাত্রীর শরীরে শরীরে পাওয়া যায়নি। বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে।এদিকে আজ সকালে ঘটনায় আসে নতুন মোড়।তরুনীর মৃতদেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয় সেখান থেকেই মিলল অভিযুক্ত যুবকের লাশ।পুলিশ লাশটিকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেছে।এনিয়ে ঘটনায় ডানা বাঁধছে রহস্যের বেড়াজাল। সুত্রের খবর অনুযায়ী প্রেমের সম্পর্ক ছিল দু’জনের।মৃত অভিযুক্তের আত্মীয় স্বজনদের বক্তব্য খুন করা হয়েছে ছেলেকে।স্থানীয় মানুষদের প্রশ্ন এটা ধর্ষন ? খুন? নাকি আত্মহত্যা? নাকি দুজনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে?নাকি এর পিছনে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশি তদন্তে সত্যটা বেড়িয়ে আসবে।