|
---|
জয় মুখার্জি
সংবাদ সৌজন্যে: বার্তা সাম্প্রতিক
http://bartasamprotik.blogspot.com
আর সাত দিনের মধ্যেই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যাবে। যে হারে বাড়ছে, তাতে এটাই এখন স্বাভাবিক । লক ডাউন চলছে কিন্তু তাতেও ১০টি জেলায় করোনা আটকানো যাচ্ছে না। তবে তার জন্য দেশের সমস্ত এলাকার মানুষের আতঙ্কের কারণ নেই। অর্ধেকের বেশি রাজ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে। মূলত দেশের সাতটি থেকে ১০ টি জেলা যা আসলে বড় বড় শিল্প নগরী অথবা মেগাসিটি, সেখানেই করোনার বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।
গত সাত দিনের হিসেবে পৃথিবীতে সবচাইতে বেশি হারে করোনা ছড়াচ্ছে ব্রাজিল আর দু নম্বরে ভারত। এমনকি পাকিস্তান বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ইন্দোনেশিয়া ব্রিটেন আমেরিকা তে করো না ছড়ানোর পরিমাণ কমে গেছে। ফ্রান্সে তো নেই প্রায়। অন্যদিকে চীন দক্ষিণ কোরিয়া ইতালি-স্পেন যে সমস্ত দেশগুলিতে গত কয়েক মাসে করোনা হাজার হাজার মানুষের প্রাণ নিয়েছিল, সেখানে করোনা স্তিমিত। আগামী দিনে বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশ গুলির মধ্যে ভারত এসে যেতে পারে।
ভারতে করোনা বেড়েই চলেছে মূলত পাঁচটি রাজ্যে। সারা দেশে যা মোট বৃদ্ধির হার তার ৭৭ % ওই পাঁচটি রাজ্যে — মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাট দিল্লি, উত্তর প্রদেশ।এরপরেই আছে মধ্যপ্রদেশ। এ রাজ্য গুলিতেই সবচাইতে বেশি হারে বাড়ছে। গত সাত দিনের হিসেবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে, তামিলনাড়ু আর পাঞ্জাবে।অন্যদিকে মৃতের হার সবচেয়ে বেশি পশ্চিমবঙ্গে, গুজরাটে,সেইদিক থেকে তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা অনেক কম।
মৃতের শতাংশ কমবেশি দেখে অবশ্য বোঝা যাবেনা যে করোনার সংকট টা কতটা কমবেশি। তার কারণ যত সংখ্যক টেস্টিং হচ্ছে তার ভিত্তিতে শতাংশ কমে বাড়ে, পশ্চিমবঙ্গে টেস্টিং কম বলে মৃত্যুর হার বেশি দেখাচ্ছে। তুলনায় গুজরাটের অবস্থা আরো ভয়ানক। সেখানে টেস্টিং এর পরিমাণ যত বেশি মৃত্যুর পরিমাণ দুটোই তত বেশি।
দেশে গত ১০ দিনে করোনা বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূলত দশটি জেলার পরিস্থিতি দায়ী। সেগুলি হল যথাক্রমে: মুম্বাই আমেদাবাদ চেন্নাই পুনে থানে ইন্দোর জয়পুর কলকাতা যোধপুর সুরাট। এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রমণটা বেশি হচ্ছে কেবলমাত্র বৃহদ নগরকেন্দ্রিক এলাকায়। তুলনায় গ্রামাঞ্চল বা মফস্বলে শহর গুলি অনেক নিরাপদ।