আনন্দবাজারের নামে ফেক পোর্টাল খুলে ঘৃনা ছড়াচ্ছে বিজেপি আইটি সেল

আনন্দবাজারের নামে ফেক পোর্টাল খুলে ঘৃনা ছড়াচ্ছে বিজেপি আইটি সেল

    নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক:

    ঘটানার সুত্রপাত হুগলীর নদী তীরবর্তী তেলনীপাড়ায়। গত রবিবার রাতে পাবলিক টয়লটের ব্যবহার ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ধর্মীয় ইস্যু পেয়ে কিছু দাঙ্গাবাজ নেতানেত্রী রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য মাঠে নেমে পড়ে। এরপর থেকে দাঙ্গার প্রভাব আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। দিন কয়েক কেটে গেলও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে নি। মুসলিমদের বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার নোংরা অভিযোগ চাপিয়ে তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করে পরিকল্পিত ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কিছু স্থানীয় মানুষ।

    গত কাল বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের পক্ষ থেকে দুপুর ১২:৪৫ থেকে ৩:৪৫ অব্দি এক নাগাড়ে প্রশাসনিক কর্তা, পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে গেছি। বহু আক্রান্ত মানুষের সাথে কথা বলেছি। কল রেকোর্ডিং আমাদের কাছে রয়েছে। এমনই একজন হলেন সেখ সাবিরুসুদ্দিন (নিরাপত্তার কারনে নাম পরিবর্তিত)। তিনি জুট মিলের অবসরপ্রাপ্ত বয়স্ক কর্মী। রোজাও রেখেছেন। তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে কিছু বহিরাগত। সাবিরুদ্দিনকে বাঁচাতে আসেন প্রতিবেশী হিন্দুরা। একজন দুধ ব্যবসায়ী সাবিরুদ্দিনের বাড়ির সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ান। শামসুদ্দিন বলেন উনি না থাকলে আমার সর্বনাশ হয়ে যেত। প্রতিবেশী রাজকুমার রায় জানান যারা সাবিরুদ্দিন দাদাকে আক্রমন করতে এসেছিল তারা সবাই বহিরাগত। বোঝায় যাচ্ছে বাইরের মানুষ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চলছে। রাজকুমারবাবু আরও বলেন, “আমরা হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশেই থাকি, বহিরাগত গুলো খামোখা সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতে এসেছিল”। আমাদের কাছে অথেনটিক তথ্য নিয়ে “দ্য হিন্দু” পত্রিকা এই নিয়ে খবরও করেছে আজকে।

    আজ সকাল থেকে ফেক পোর্টাল মারফৎ বিজেপি আইটি সেল বিকৃত সংবাদ ও বিদ্বেষবিষ ছড়াতে শুরু করেছে। তারমধ্যে সবথেকে ঘৃণ্য কাজটি হল আনন্দবাজার নিউজ পোর্টালের নামে একটি ফেক পোর্টাল খোলা। সেই ফেক পোর্টাল থেকে মুসলিম-বিদ্বেষী খবরাখবর ছড়িয়ে দেওয়ায় তাদের উদ্দেশ্য। জানতে পেরে আমরা আজ সকাল ৯টায় আনন্দবাজারের চিফ এডিটরের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাঁরাও বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। যারা আনন্দবাজারের নাম নিয়ে ফেক খবর ও ঘৃনা ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে আনন্দবাজার কর্তৃপক্ষ। তাদের কাছেই জানতে পারলাম যে “বিবিসি”র নামেও একটি ফেক পোর্টাল খোলা হয়েছে। আমরা আশাবাদী ফেক নিউজ ও ঘৃণার কারবার এবার বন্ধ হবে।

    আনন্দবাজার কর্তৃপক্ষ তাদের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ফেক পোর্টাল তৈরির নোংরা চক্রান্তের বিষয়টি জানিয়েছেন।