|
---|
দেবাশিষ পাল, মালদা : ২০১৯-এর নির্বাচনটা উন্নয়ন নিয়ে । বাংলায় উন্নয়ন হয়েছে। যিনি বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তার নাম মমতা ব্যানার্জি। বুধবার দুপুর ১ টায় উত্তর মালদার তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে এসে কথা বললেন টলিউড তারকা তথা ঘাটাল এলাকার তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)।
এদিন হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতের গিরিজাসুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার মাঠে তৃণমূলের এই নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয় । আর এই জনসভায় টলিউড তারকাকে দেখতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় মানুষের মধ্যে। মঞ্চে অভিনেতা তথা সাংসদ দেবের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরি, যুব তৃণমূল নেতা ইংরেজবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাস প্রমুখ। এদিন দুপুর বারোটা থেকেই অভিনেতা দেবকে দেখার জন্য হাজারো মানুষের সমাগম বুলবুলচন্ডির হাইস্কুল সংলগ্ন মাঠে।
জমায়েতের মধ্যে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের ভীড় ছিল বিপুল। দুপুর একটায় দেব মঞ্চে আসতেই করতালি আর চিৎকারে মাতিয়ে তোলেন অভিনেতা ভক্তদল । অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা দেবের ছবি মোবাইলে বন্দী করে রাখার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে মঞ্চে অভিনেতা দেবের সঙ্গে সেলফি এবং মোবাইলে ছবি তুলতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে । অধীর আগ্রহ করেই দেবের বক্তৃতা শোনেন হবিবপুর এলাকার মানুষ । অনেকেই আবার সিনেমার ডায়লগ দেওয়ার অনুরোধ জানান দেবের কাছে। কিন্তু নির্বাচনের মধ্যে সে সব কিছু না করে শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়ন এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কথায় সাধারণ মানুষদের কাছে তুলে ধরেন সাংসদ দেব। তিনি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ তথা টলিউড তারকা দেব বলেন, আমি কোনদিন যে রাজনীতিতে আসবো তা ভাবিনি। শুধুমাত্র দিদি মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়ন এবং মানুষের জন্য কাজ করতে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছি । তার আদর্শ , নীতি সবই মানুষের জন্য। এ রাজ্যে ছেলেমেয়েরা আগে বহু পথ পেরিয়ে শিক্ষা কেন্দ্রে যেত। এখন তাদের জন্য সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল দিয়েছে তৃণমূল সরকার । রাজ্যে এক কোটিরও বেশি পড়ুয়ারা সাইকেল পেয়েছে। গরিব বাবা-মায়েদের পক্ষে মেয়েদের বিয়ে দিতে সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য কন্যাশ্রীর অন্তর্ভুক্ত করে রূপশ্রী প্রকল্প তৈরি করে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । রূপশ্রী প্রকল্পের আর্থিক সহযোগিতায় গরিব ঘরের মেয়েদের বিয়েও হচ্ছে। ৫০ লাখেরও বেশি ছাত্রী কন্যাশ্রী ও রুপশ্রী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। গত কয়েক বছরের মধ্যে রাজ্যে ৪২ টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ গীতাঞ্জলি প্রকল্পে বাড়ি তৈরির সুবিধা পেয়েছে । এরকম উন্নয়ন মূলক কাজ বিগত দিনের সরকার তো করেননি এই কথা তিনি বলেন।