|
---|
গণধর্ষণের শিকার হাথরসের দলিত কন্যার ন্যায়বিচার চেয়ে প্রতিবাদে গর্জে উঠল দিল্লি
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: যন্তরমন্তরের সমাবেশে সমাজের সকলস্তরের মানুষ সমবেত হয়ে সুবিচারের পাশাপাশি যোগীর ইস্তফা দাবি করেন।উত্তরপ্রদেশের হাথরস গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের একবার প্রতিবাদে সোচ্চার হল দিল্লি। যন্তরমন্তর ভরে গেল কয়েক’শো প্রতিবাদীর সমাবেশে। কে ছিলেন না সেখানে! রাজনীতিক থেকে সমাজকর্মী। মহিলা থেকে পড়ুয়া– সমাজের সকল স্তরের মানুষ মিলিত কণ্ঠে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন। চরম বর্বরতার শিকার হাথরসের দলিত তরুণীর সুবিচার দাবি করেছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ, সিপিআই নেতা ডি রাজা, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকেও দেখা গিয়েছে প্রতিবাদীদের ভিড়ে।
প্রথমে ঠিক ছিল, হাথরসের বছর উনিশের দলিত কন্যার নির্যাতনের প্রতিবাদে ইন্ডিয়া গেটে জড়ো হবেন সকলে। কিন্তু, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তাই যন্তরমন্তরে শুরু হয় প্রতিবাদ, জানালেন চন্দ্রশেখর আজাদ। ১০০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল অন্তত ৫০০ জন উপস্থিত ছিলেন। সন্ধে নামার পর তাঁরা মোমবাতি জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। পুলিশ নির্বাক দর্শক।
প্রতিবাদ মঞ্চে বাম নেতারা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ দাবি করেন। বলেন, যোগী সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই। সীতারাম ইয়েচুরির কথায়, ‘উত্তরপ্রদেশ সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনও অধিকার নেই। আমরা চাই ন্যায়বিচার।’ তিনি বলেন, ‘এই জঘন্য অপরাধ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বের নীরবতা, উত্তরপ্রদেশ সরকারের জবাব– শাসকদলের চেহারা তুলে ধরে।’
সমাজকর্মী তথা আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের কথায়, ‘উত্তরপ্রদেশে গুন্ডারাজ চলছে। গ্রাম ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কোনও সংবাদমাধ্যম বা বিরোধী নেতাদের ঢুকতে দিচ্ছে না। নির্যাতিতার আত্মীয়দের মোবাইল কেড়ে নিয়েছে।’ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন।
যন্তরমন্তরের সমাবেশে কেজরি বলেন, ‘এটা নিয়ে কোনও রাজনীতি কাম্য নয়।’ নির্যাতিতার পরিবারকে সাধ্যমতো সাহায্য করার জন্য সকলের কাজে তিনি আর্জি জানান। অরবিন্দ প্রশ্ন তোলেন, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মুম্বই বা দিল্লিতে কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটে? বলেন, ‘দেশে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটা উচিত নয়। গোটা দেশ চায় দোষীদের কঠিন সাজা।’ অনেকেরই ধারণা, উত্তরপ্রদেশ সরকার দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। কেজরি সে প্রসঙ্গও তোলেন।
তার আগেই ভীম আর্মির প্রধান আজাদ ট্যুইট করেন, ‘আমি হাথরসে যাবই। মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা, ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত এ লড়াই চলবে। আমি সুপ্রিম কোর্টকে এই ঘটনায় হস্তক্ষেপের আর্জি জানাচ্ছি।’ গান্ধীজয়ন্তীর দিন এই প্রতিবাদ বিশেষ অর্থবহ বলে মনে করছেন অনেকেই।
বাল্মীকি সমাজের প্রার্থনাসভায় প্রিয়াঙ্কা আশ্বস্ত করে বলেন, ‘নির্যাতিতার পরিবার সুবিচার না-পাওয়া পর্যন্ত তাঁর দল কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশ সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে যাবে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় যন্তরমন্তরের প্রতিবাদ সমাবেশে ছিলেন না কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি গিয়েছিলেন বাল্মীকি মন্দিরে। হাথরসের দলিত তরুণীর স্মরণে আয়োজিত প্রার্থনা সভায়। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘হাথরসের নির্যাতিতার ন্যায়বিচার দাবি করে দেশের প্রত্যেকটি মহিলাকে সোচ্চার হতে