জামালপুরে ৭ম পূর্ব বর্ধমান জেলা বইমেলা

নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রতিবছরের মত এবারও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার বিভাগের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ১১ জানুয়ারি জামালপুরে শুরু হল ৭ম বর্ষ পূর্ব বর্ধমান জেলা বইমেলা। স্থানীয় নেতাজি অ্যাথলেটিক ক্লাব ময়দানে মূলত তাদের আন্তরিক সহায়তায় সুন্দর পরিবেশে গ্রন্থমেলা চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত । মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের গ্রন্থাগার ও জনশিক্ষা প্রসার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। অন্যান্যদের মধ্যে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, অতিরিক্ত জেলা শাসক কৃষ্ণেন্দু মন্ডল, বিধায়ক অলোক মাঝি, উজ্জ্বল প্রমাণিক, বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক সুনীতি মুখোপাধ্যায় প্রমুখ ব্যক্তিত্ব।

    দ্বিতীয় দিনে ‘দক্ষিণ দামোদরের সংস্কৃতি ও ইতিহাস’ নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান জেলার তথ্য অনুসন্ধানী গবেষকেরা। আলোচনার সূত্রপাতে অধ্যাপক-গবেষক সর্বজিৎ যশ দক্ষিণ দামোদরের ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক অবস্থান এবং কৃষি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করেন। গবেষক রমজান আলি বলেন যে রাঢ় সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই অঞ্চল। অস্ট্রিক অধ্যুষিত এই অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ নদী দামুদর (< দামুরহুড়া), একে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে দামুদর সভ্যতা। মধ্যযুগের মঙ্গলকাব্যগুলিতে সংস্কৃতির যে বিবিধ রূপ ও বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায় তা আজও সমান ভাবেই বিদ্যমান । সব থেকে বড় ব্যাপার এই অঞ্চলের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শুধু ভারত বর্ষ নয় গোটা পৃথিবীতে তুলে ধরার মতো। বিদ্যাসাগরের শিক্ষক মহাশয়ের পরিবারের উত্তরসূরী প্রবীরবাবু পরিবারের-ঐতিহ্য অতীত নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন। রতীরঞ্জন আদক মহাশয় জামালপুরের সাহিত্য চর্চার ইতিহাস তুলে ধরেন। বিধায়ক অলোক মাঝি সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা ও পর্যটনে দক্ষিণ দামোদর কে নিয়ে আগামী দিনে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। ঝকঝকে সাজানো এই গ্রন্থমেলায় ৭০ টি স্টলে প্রচুর ক্রেতার ভিড় দেখা যায়। আয়োজক স্থানীয় ক্লাব তাদের সাংস্কৃতিক প্রদর্শন এর মধ্য দিয়ে গ্রন্থমেলাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।