|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা- ধর্মের আগুনে জ্বলছে দিল্লি। দেশের প্রাণকেন্দ্র আজ অগ্নিদগ্ধ। শাসকের মদতেই চলছে পাথরবাজি, গুলিবর্ষণ। শাসকগোষ্ঠীর উস্কানিমূলক কথাবার্তা ক্যা বিরোধী আন্দোলনকে পরিকল্পিত হত্যার রূপ দিয়েছে। রাজধানীর পুলিশের ভূমিকা শাসকগোষ্ঠীর ক্যাডারদের ন্যায়।সংখ্যালঘু মানুষদের ওপর অকথ্য পরিমাণ অত্যাচার চলছে। একটি শান্তিপ্রিয় সমাজ বা দেশে দাঙ্গা তখনই হয় যখন শাসক চাই। ভারতবর্ষের বুকে ফ্যাসিবাদী সরকার মানুষকে ধর্মের লেলিহান শিখায় শুধু জ্বালাতে শিখেছে ভালবাসতে নয়। আট থেকে আশি বছরের মানুষ রক্তাক্ত হয়েছে দিল্লির রাজপথে। রক্ষক আজ ভক্ষকের ভূমিকায় পরিণত হয়েছে। কর্মসূত্রে দিল্লিতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বহু বাঙালি শ্রমিক। গৃহবন্দি হয়ে দিনের পর দিন কাটাচ্ছে তারা,ঘরের মধ্যে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার ও জল। শুধু বিস্কুট খেয়েই দুদিন ক্ষুধা নিবারণ করেছেন কালাম শেখ , আন্টন শেখরা।
মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা ব্লকের ত্রিমোহনী গ্রাম থেকে 11 জন বাঙালি ভাই দিল্লির গন্ডাচকে কর্মসূত্রে গিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে গিয়ে তাদের রোষের মুখে পড়তে হয়। ঘরে ফিরে আসার জন্য বারবার আর্জি জানাচ্ছিলেন তারা।পরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। উনাদেরকে সাহায্যের আশ্বাস দেন বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ এবং রাজ্যে দ্রুত ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। দিল্লিতে আটক কালাম শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বাইরে বোমার আওয়াজ, গুলিবর্ষণের আওয়াজ আমরা ঘরের মধ্যে গৃহবন্দি হয়ে আছি। আমরা যে রুমে আছি তার পাশের বাড়িতে এক থেকে দেড়শ জন গেরুয়া সন্ত্রাসী হামলা চালায়। ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার নেই বাইরে যেতে পারছি না। ঘরে ফিরতে চাই বলেই কেঁদে উঠলো। এদিকে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি অধ্যাপক সামিরুল ইসলাম বলেন আমরা খবর পেয়েছিলাম দিল্লিতে 11 জন ভাই আটকে আছে আমরা সাথে সাথেই সেখানকার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও উচ্চপদস্থ আধিকারিক দের সাথে যোগাযোগ করি। উনাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে দু’একদিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসবে।