‘জঙ্গিপুর রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার্স কমিটি’ ভোরবেলা কোলকাতাগামী এক্সপ্রেস ট্রেনসহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে জঙ্গিপুর স্টেশনমাস্টারের মাধ্যমে মালদা ডিভিশনের ডি.আর.এম. কে ডেপুটেশন

রাইহা জনুল হক, মুর্শিদাবাদ :

    জঙ্গিপুর-আজিমগঞ্জ লাইনে আছে মাত্র কয়েকটি লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন। কিন্তু বেশিরভাগ এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ নেই। সন্ধের দিকে হাওড়া যাবার মালদা টাউন ট্রেনটি এতদিন প্যাসেঞ্জার হিসাবে চললেও বছর দুয়েক থেকে কাটিহার পর্যন্ত বাড়িয়ে এক্সপ্রেস করা হয়েছে নাম কা ওয়াস্তে। প্যাসেঞ্জারদের অভিযোগ, এক্সপ্রেসের ভাড়া নিয়ে আসলে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। কোলকাতা যেতে হলে, মূলত, সকালের ইন্টারসিটি ও সন্ধের কাটিহার এক্সপ্রেস ট্রেনের উপর নির্ভর করেই থাকতে হয় জঙ্গিপুর মহকুমাবাসীকে। জঙ্গিপুর মহকুমার মানুষকে রুটি রুজির সন্ধানে যেতে হয় বিভিন্ন জেলা থেকে শুরু করে ভিন রাজ্যেও। কিন্তু যথেষ্ট ট্রেন না থাকায় যেতে হয় লালগোলা বা রামপুরহাট লাইনে। আবার সকালের ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস আর নবদ্বীপধাম এক্সপ্রেস প্রায় একইসঙ্গে থাকায় টিকিট কাউন্টারে পড়ে যায় লম্বা লাইন। কিন্তু টিকিট কাউন্টার মাত্র একটাই। প্লাটফর্মে ট্রেন ঢুকে পড়লে অনেকসময় বাধ্য হয়ে বিনা টিকিটেই ট্রেনে চাপতে বাধ্য হন অনেক যাত্রীই।

    শনিবার, সাধারণতন্ত্র দিবসে ‘জঙ্গিপুর রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার্স কমিটি’ ভোরবেলা কোলকাতাগামী এক্সপ্রেস ট্রেনসহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে জঙ্গিপুর স্টেশনমাস্টারের মাধ্যমে মালদা ডিভিশনের ডি.আর.এম. কে ডেপুটেশন দিলো। রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার্স কমিটির সৌমিক দাস, ওয়াহিদুল শেখ ও ফিটু শেখের নেতৃত্বে এই ডেপুটেশনে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মোজাম্মেল হক, শুভঙ্কর সরকার সহ আরো অনেকেই। তাঁরা কয়েকদফা দাবি পেশ করেন। দাবী গুলো হল –
    ১. ভোরবেলায় জঙ্গিপুর থেকে কোলকাতাগামী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করতে হবে।
    ২. জঙ্গিপুর – আজিমগঞ্জ লাইনে চলা সমস্ত ট্রেনকে স্টপেজ দিতে হবে।
    ৩। জঙ্গিপুর থেকে বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বাই,কেরল, সুরাট ও দিল্লীগামী ট্রেন চালাতে হবে।
    ৪। জঙ্গিপুর অথবা আজিমগঞ্জ থেকে সকালের দিকে শিলিগুড়ি যাবার ট্রেন চালু করতে হবে।
    ৫। জঙ্গিপুর – আজিমগঞ্জ – কাটোয়া লাইনে আরো লোকাল ট্রেন চালাতে হবে।
    ৬। জঙ্গিপুর – মোরগ্রাম নতুন রেলপথ করতে হবে, যাতে করে সহজেই দুর্গাপুর আসানসোল যাওয়া যায়।
    ৭। নশীপুর রেলব্রিজ চালু করতে হবে।

    এছাড়া, জঙ্গিপুর রেলস্টেশনে রেলওয়ে এনকোয়ারি কাউন্টার, ৩ নং প্লাটফর্মের কাছে টিকিট কাউন্টার, স্লিপার ওয়েটিংরুম, প্লাটফর্ম শেড বাড়ানো, প্লাটফর্মে কোচ ইন্ডিকেটর লাগানো ইত্যাদিরও দাবি জানানো হয়।

    আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি পূর্বরেলের জেনারেল ম্যানেজার জঙ্গিপুরে আসছেন। ঐদিনও প্যাসেঞ্জার্স কমিটি আবার ডেপুটেশন দেবে বলে কমিটির অন্যতম সদস্য ওয়াহিদুল শেখ জানান।