তৃণমূলে ছিলাম-আছি-থাকবো, জল্পনায় জল ঢেলে জানালেন অশোকনগরের বিদায়ী বিধায়ক ধীমান রায় 

তৃণমূলে ছিলাম-আছি-থাকবো, জল্পনায় জল ঢেলে জানালেন অশোকনগরের বিদায়ী বিধায়ক ধীমান রায়

     

     

     

     

     

    মহঃ মফিজুর রহমান, উত্তর ২৪ পরগণা : তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রে পুনরায় লড়ার সুযোগ দিয়েছিল । সেইমত প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি । এলাকা জুড়ে তাঁর নামে চলে দেওয়াল লিখন । বিধানসভা ভোটের প্রচার তিনি যখন অনেকটাই সেরে ফেলেছেন এমতাবস্থায় হঠাৎ তাঁকে বদল করে অশোকনগর কেন্দ্রে তৃণমূল নতুন প্রার্থী হিসেবে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামীর নাম ঘোষণা করে । এতেই ক্ষুব্ধ হন অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়ক ধীমান রায় । তার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল ধীমান রায় কি তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেবেন ? অবশেষে সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন খোদ ধীমান রায়-ই । নিজের বিধায়ক অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি জানালেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন, বর্তমানেও আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন । উল্লেখ্য, ধীমান রায় অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের দুবারের বিধায়ক এবং অশোকনগর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা । দলের প্রার্থী তালিকায় নাম ঘোষণার প্রায় ১৪-১৫ দিন পর তাঁকে বাদ দিয়ে প্রার্থী করা হয় নারায়ণ গোস্বামীকে। ইতিমধ্যে ধীমান রায়কে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ দেওয়ার লিখন সেরে ফেলেন তৃণমূল কর্মীরা। প্রচারে নেমে পড়েন ধীমান রায়। হঠাৎ একদিন প্রচারের সময় তিনি জানতে পারেন তাঁকে বাদ দিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে জেলাপরিষদ কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলার নেতা নারায়ণ গোস্বামীকে। কিন্তু দল তাঁকে এই বিষয়ে কিছুই জানায়নি। এই খবর জানার পর অপমানিত বোধ করেন তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়ক। অথচ তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া প্রকাশ্যে আসেনি। এরপর তিনি জানতে পারেন অশোকনগরে দলীয় কর্মীসভায় দলের নেতারা দাবি করছেন, তিনি নাকি অসুস্থতার কথা জানিয়ে দলকে চিঠি লিখে প্রার্থী হতে চাননি। দলের নেতাদের এই মিথ্যা দাবিকে মেনে নিতে পারেননি তিনি। তাই অবশেষে নিজের দফতরে সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন ধীমান রায়। সাংবাদিক সম্মেলনে দলের একাংশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক । বলেন, “যাঁরা এসব বলছে,তাঁরা মিথ্যা কথা বলছে ও বাড়িয়ে বলছে । এমন কোনও চিঠির প্রমান তাঁরা দেখাতে পারবেন না ৷” তিনি আরো বলেন, একটি ভিডিওতে দেখলাম আমি নাকি প্রার্থী হবার জন্য আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলাম, কিন্তু এটাসর্বেব মিথ্যা। দলনেত্রী প্রথমে আমার উপর আস্থা রেখে আমাকে এই কেন্দ্রের প্রার্থী করেছিলেন। পরে আমাকে বদলে অন্যকে প্রার্থী করা হল । তাঁকে বদল করার পিছনে দলের একাংশের চক্রান্ত আছে বলে মনে করেন ধীমান রায় । তার পরেও অশোকনগর কেন্দ্রের তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়কের দাবি, তিনি তৃণমূলে ছিলেন, বর্তমানেও আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন ।