|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। শাসকদলের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। বাঁকুড়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে ‘গাঁটযুক্ত কাঁচা বাঁশ’ প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমানে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শাসকদলের বিরুদ্ধে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে জেলার নেতা-কর্মীদের এ বার বাঁশ হাতে মনোনয়ন জমা দিতে যেতে বললেন তিনি। বললেন, ‘‘সঙ্গে গাঁটযুক্ত কাঁচা বাঁশ রেখে দেবেন। মারলে যেন গায়ে দাগ থেকে যায়।’’ দিলীপের মন্তব্যের সমালোচনা করেছে তৃণমূল। বিজেপির বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাজার গরম করার অভিযোগ তোলা হয়েছে শাসকদলের পক্ষ থেকে।
রবিবার বিষ্ণুপুরে ‘চোর ধরো জেল ভরো’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘গত বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে গুন্ডা আর পুলিশ দিয়ে ভোট লুট করা হয়েছে। মনোনয়ন করতে দেয়নি। আমরা সরল মনে ভোট করতে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম মনোনয়ন হবে। শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। সাধারণ মানুষ ভোট দেবেন। কিন্তু সাত দিন ধরে এসডিও ও বিডিও অফিস ঘেরাও করে রেখে আমাদের মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হয়নি। এ বার কিন্তু খালি হাতে যাব না আমরা। কাঁচা বাঁশ সঙ্গে নিয়ে যাব। এখন থেকে কাঁচা বাঁশ কেটে রাখুন। চাঁছবেন না। বাঁশে যেন গাঁট বেরিয়ে থাকে। মারলে যেন গায়ে দাগ থেকে যায়।’’ দিলীপের সংযোজন, ‘‘এখন থেকেই বিরোধীশূন্য করার কথা বলছেন ওঁরা। আরে বিরোধীশূন্য পরে হবে। আগে দলটাকে তো ধরে রাখো। দরজার হুড়কো খুলে দেখো, ক’টা নেতা তোমার দলে থাকে! পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর শোধ নিতে হবে।’’
দিলীপের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপি এই ধরনের কথা বলতে অভ্যস্ত। আর দিলীপ ঘোষের কথা না বলাই ভাল। জন্মানোর সময় সম্ভবত তাঁকে মধু খাওয়ানো হয়নি। তাই কখনও তিনি বলেন, হাত কেটে নাও। আবার কখনও বলেন, মাথা কেটে নাও। আমাদের দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ভাবে হবে। বিজেপি এ সব কথা বলে বাজার গরম করার চেষ্টা করছে।’’