শীতের কম্বল বিতরণে হাত বাড়ালো “দুঃস্থের ছায়া” নামক এক সেচ্ছাসেবী সংস্থা

সেক আতিউল্লা, নতুন গতি,পূর্ব মেদিনীপুর:প্রতিটি যোদ্ধাই আমাদের কাছে প্রেরণা, কারণ আমরা ও জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে যুদ্ধের স্বাদ পেয়ে থাকি। আসলে আমরা সবাই যোদ্ধা। কারোর যুদ্ধ ভাত কাপড়ের, কারোর যুদ্ধ শিক্ষায়, কারোর বা বাসস্থানের। আরো আরো অনেক লড়াইয়ের ভিড়ে কারোর লড়াই গৌণ, কারোর লড়াই মুখ্য। কিন্তু যারা প্রকৃতির সাথেও অসহায়তায় লড়াই করে তারা প্রেরণা ছাড়া কম কোথায়। আর আমরা তাদের সাথেই দাঁড়াতে গিয়ে পরিবার গড়েছি। আমরা দেখেছি এখনো অনেক মা তার শিশুকে আঁচলে ঢেকে উষ্ণতা দেয়। মায়ের আঁচলের মত উষ্ণতা কোনো কম্বল বা লেপ দিতে পারে না। কিন্তু যদি সে মায়ের আঁচল জীর্ণ হয়, ছিন্ন হয়, সেই মা যদি শীতের রাতে উষ্ণতা না পায়, তবে শিশুর কি হবে? আমার ভারতবর্ষ এখনও শীতে কাঁপে, এখনও প্রতিনিয়ত উষ্ণতার প্রার্থনা করে। ঝুপড়ি বাড়ির দুয়ার জুড়ে না জানি কত হিমা দাস লম্বা একটা দৌড়ের অপেক্ষায়। আমরা পারি তাদের সুস্থ রাখতে, তাদের যত্নে রাখতে। তাই “দুঃস্থের_ছায়া ” পরিবার কম্বল বিতরণের মত উদ্যোগ নিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত হয়েছিল।

    আজ ২৯ ডিসেম্বর ছিল দ্বিতীয় পর্ব, আজ পালা ছিল আউশা বাঁধি গ্রামে।
    সংস্থার বক্তব্য –
    শুধুমাত্র পিওন হয়ে আপনাদের বিন্দু বিন্দু ভালোবাসা ওই মানুষগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে এসেছি। আপনাদের সাহায্য, সহযোগিতা ও ভালোবাসা না থাকলে আমরা কখনোই এই দায়িত্ব পালন করতে পারতাম না। আমরা বার বার সাহায্যের আবেদন করেছি, আপনারা বার বার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ওদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
    আজ রাত্রি ঠিক আটটায় আমরা তৃতীয় পর্ব উষ্ণতা বিতরনে উপস্থিত থাকবো মেদিনীপুর চার্চ স্কুলের পেছনের গেটে, আপনারাও আসুন। দেখা হোক, কথা হোক, সাথে হোক উষ্ণতা বিনিময়।