|
---|
ক্লান্তি নেই কান্তির, রাতভর ঘুরলেন জল-ঝড়ের সুন্দরবনে। তাণ্ডব চালিয়েছে বুলবুল। ক্ষতিগ্রস্থ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার একাধিক জনপদ। গাছ উপড়ে, বাড়ি ভেঙে লণ্ডভণ্ড অবস্থা। দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত রায়দিঘির বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়ালেন রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী তথা প্রবীণ সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও ভ্যানে চেপে—পৌঁছে গেলেন দুর্যোগ কবলিত গ্রামে গ্রামে।
কান্তিবাবু এখন পূর্ব কলকাতায় থাকলেও, রায়দিঘিতে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। সেখানে একটি বাড়িও রয়েছে তাঁর। শনিবার সেই বাড়িতেই খুলে বসলেন আশ্রয় শিবির। সেখানে রাতে ঠাঁই নিলেন কয়েকশো মানুষ। খিচুড়ি রান্না করে তাঁদের খাওয়ালেন সিপিএম নেতা।
রবিবার সকালেও দেখা গেল গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন। আট থেকে আশি সবাই তাঁদের সমস্যার কথা জানাচ্ছেন ‘কান্তিদা’কে। আয়লার সময়েও দেখা গিয়েছিল মাটি কেটে নদীবাঁধ মেরামতির কাজ করতে। কিন্তু তখন রাজ্যে বামেদের সরকার। কান্তিবাবু মন্ত্রী। এখন সেসব নেই। কান্তিবাবু বললেন, “মানুষের পাশে থাকার জন্য আবার সরকার লাগে নাকি।”
২০১১ ও ১৬-র ভোটে রায়দিঘিতে হারতে হয়েছে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। দু’বারই তাঁকে হারিয়ে বিধানসভায় গিয়েছেন অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। ভোটে হারলেও বদল নেই কান্তিবাবুর।
ইতিমধ্যেই বুলবুল বিদায় নিয়েছে। আবহাওয়াও পরিষ্কার হতে শুরু করেছে। কিন্তু ক্ষতি হয়েছে বিরাট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে আগামী সপ্তাহে বুলবুল কবলিত এলাকায় যাবেন। করবেন প্রশানিক বৈঠক। অন্যদিকে প্রচারবিমুখ কান্তিবাবুও ঠিক করেছেন, আগামী কয়েকটি দিন রায়দিঘিতেই থাকবেন তিনি