হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির ঐক্যে ” আহলে সুন্নাতুল জামাতের” পথসভা ডোমজুড়ে

সাইফুদ্দিন মল্লিক : ভোটকে সামনে রেখে সাম্প্রদায়িক বক্তব্য, ঘটনা সব কিছুই বাড়ছে সমগ্র ভারতে এবং বাংলাতেও। কিছু রাজনৈতিক নেতা নেত্রী ধর্মীয় হিংসা ছড়িয়ে ভোটের ফায়দা তোলার চেষ্ঠা করছে। হিন্দু মুসলিমকে ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে, একে – অপরের শত্রুতে পরিনত করছে। হিন্দু মুসলিম ঐক্য মজবুত করতে, নিজেদের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ব বাড়াতে, শান্তি সম্প্রীতির স্বার্থে আহলে সুন্নাতুল জামাত আজ ডোমজুড়ে পথসভা করেন। বেলা এগারোটাতে ডোমজুড় মতিঝিল পেট্রোল পাম্প থেকে পথসভা শুরু হয় এবং ডোমজুড় থানাতে গিয়ে পথসভা শেষ হয়। থানার পাসে রাস্তার উপর বিক্ষোভ সভাও অনুষ্ঠিত হয়। পথসভা, বিক্ষোভ সমাবেশের নেতৃত্ব দেন সংঠনের সর্বময় কর্তা আব্বাস সিদ্দিকী।

    গত রবিবার ২১ এপ্রিল হুগলী চণ্ডীতলা থানার অর্ন্তগত বড়তাজপুর ও কাপাসহাড়িয়া মাঝের পাড়ায় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে। এলাকায় রামনবমীর মিছিল থেকে  সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। অনুমতিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক বাহিনীরা মিছিল করে এবং জোর পূর্বক মুসলিম পাড়ায় ঢুকে নামাজ চলাকালীন উচ্চস্বরে গান-বাজনা করতে থাকে। এমন সময় প্রতিবাদ করলে, মসজিদে ভাঙচুর শুরু করে, এলাকাতে কয়েটি দোকান ও মুসলিমদের বাড়ি ভাংচুর হয়, পরিস্থিত উত্তেজিত হয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয় কয়েকজন। পুলিশের সামনেই আরএসএসের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস চালিয়ে যায় কিন্তু নির্বাক হয়ে দৃশ্য উপভোগ করেন। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে শান্তির উদ্দেশ্যে, হিন্দু মুসলিম ঐক্য গড়ে তুলতে ” আহলে সুন্নাতুল জামাত পথসভা করেন “।

    সংঠনের কর্নধার আব্বাসী সিদ্দিকী বলের – ” একসপ্তাহ আগে রাম নবমী শেষ হয়ে গেছে , তাহলে কিসের রাম নবমী করলো আরএসএস  এবং প্রসাশন অনুমতি দিল কিভাবে ? মসজিদে আক্রমণ হচ্ছে পুলিশ দাঁড়িয়ে , তাহলে পুলিশের এবং রাজ্য সরকারের ইঙ্গিতেই কি এই সাম্প্রদায়িক ঘটনা “। তিনি আর বলেন আমরা হিন্দু মুসলিম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আছি এবং থাকবো। তিনি রাজ্য প্রসংশা, পুলিশ এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন , যারা মসজিদ ভাংচুর করেছে এবং দাঙ্গা লাগাতে চেয়েছে তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। সমাজসেবী সুদর্শন রায় বলেন ” পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে বড়োতাজপুরে দাঙ্গা করিয়েছে, সমাজবিরোধীদের উস্কানিতে প্ৰশাসনের সরাসরি মদত আছে। হিন্দু মুসলিমদের ঐক্যকে ভাংছে রাজনৈতিক নেতা – নেত্রীরা”।

    পথসভাতে অংশগ্রহন কারী মানুষদের ব্যানারে লেখা ঐক্যের বিভন্ন বার্তা। ” ধর্মের বিভাজনে, দেশের মানুষকে হিন্দু মুসলিমের ভাগ করতে দিবোনা” , ” বাংলাতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে লড়াই চলছে চলবে ” , আমরা হিন্দু এক আছি , এক থাকবো।