দুয়ারে সরকার বসল এবং কোভিড টিকাকরণ হল কেদারচাঁদপুর-দুইয়ে

হামিম হোসেন মণ্ডল: ন‌ওদা মুর্শিদাবাদ জেলার ন‌ওদা ব্লকে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হল ‘দুয়ারে সরকার-৩’। ব্লকের বালি-১, বালি-২, চাঁদপুর, কেদারচাঁদপুর-১, কেদারচাঁদপুর- ২, মধুপুর, ন‌ওদা, পাটিকাবাড়ি, রায়পুর এবং সর্বাঙ্গপুর এই ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সিডিউল অনুযায়ী বসবে ক্যাম্প। ১৮ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, কেদারচাঁদপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে, ত্রিমোহিনী বাজার সংলগ্ন একটি জুনিয়ার মাদ্রাসায় (মহিলা) বসল নতুন খ্রিষ্টাব্দের প্রথম ‘দুয়ারে সরকার’। ত্রিমোহিনী বাজার শুক্রবার সপ্তাহিক বন্ধ থাকলেও এদিন ‘দুয়ারে সরকার’ উপলক্ষ্যে জেরক্স দোকানগুলি খুলেছিল। ঝাউবনা, ত্রিমোহিনী সহ দুয়েকটি গ্রাম নিয়ে গঠিত এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। অনেকদিন পর দুয়ারে সরকার পাওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে আগ্রহ ছিল। তাদের মনোরঞ্জনের জন্য ছিল লাউড স্পিকারে বাউল শিল্পীর কণ্ঠে গানের ব্যবস্থা। ভিড় তুলনামূলকভাবে অনেকটা কম হলেও বাদপড়া এবং সংশোধনের জন্য‌ মূলত মানুষের আনাগোনা লক্ষ করা গেল। লক্ষীর ভাণ্ডার নিয়েই যা কিছুটা ভিড় দেখা গেল। শিবির ঘিরে স্বভাবত মহিলাদের ভিড় বেশি। স্বাস্থ্য সাথীর ক্ষেত্রে নতুন আবেদনের জন্য পরিবার হিসাবে অন্ততপক্ষে তিন সদস্যের নাম ফর্মে থাকতে হবে এমনটাই জানাগেছে শিবির থেকে। খাদ্য সাথীর ক্ষেত্রে আগের দুয়ারে সরকারে আবেদন জানিয়েও নথিভুক্ত হয়নি ত্রিমোহিনী পূর্বপাড়ার বাসিন্দা মোবাইদুল মণ্ডল ও তার স্ত্রী সাবিনা বেগমের। অনেক পরিবারের আবার কিছু সদস্যের কার্ড হয়নি। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ওটিপি পেতে সমস্যার কথাও জানালেন অনেকে। অন্যদিকে খাদ্য সাথী কার্ডে পরিবারের প্রধানের নাম ভুল থাকলে তা সংশোধন করা বা মারা গেলে তা পরিবর্তন করার সুবিধা মিলছে না। তবে অফলাইনের সব ফর্মই শিবির থেকে সংগ্রহ করা যাচ্ছে। কেদারচাঁদপুর-২-এ পরবর্তি ক্যাম্প বসবে ২ মার্চ। এ‌ই পর্বে ২য় দফায় ন‌ওদা ব্লকের ক্যাম্প শেষ হবে ৭ মার্চ, বালি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। ক্যাম্পের সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা। এদিন কাম্পে মাস্ক ব্যবহারে শিথিলতার ছবিও ধরা পড়ল ‘নতুন গতি’-র ক্যামেরায়।এইসব পরিষেবার পাশাপাশি এদিন কোভিড টিকাকরণ‌ও চলল চত্বরে। বেশিরভাগ‌ই এখানে গিয়ে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ করলেন। সঙ্গে সঙ্গেই কোউইন থেকে সংশাপত্র‌ ডাউনলোড‌ও করা গেল।