দুর্গাপুর আরাধনা ড্যান্স একাডেমির অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হলেন শিক্ষকরা

লুতুব আলি : দুর্গাপুর আরাধনা ড্যান্স একাডেমির অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হলেন শিক্ষকরা। দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে আরাধনা ড্যান্স একাডেমির বাৎসরিক মিলন উৎসব আক্ষরিক অর্থে মহা মিলন উৎসবে পরিণত হয়েছিল। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন দুর্গাপুরের মেয়র অনিন্দিতা মুখার্জি। আলোকোজ্জ্বল সন্ধ্যায় বর্ণময় অনুষ্ঠানে একাডেমির ছাত্র-ছাত্রীদের প্রার্থনা সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। স্বাগত ভাষণ দেন আরাধনা ড্যান্স একাডেমির কর্ণধার অম্বিকা ভান্ডারী। উল্লেখ্য, বিধান নগর বয়েজ হাই স্কুলে পড়ার সময় অম্বিকা ভান্ডারী নাচের প্রতি আকৃষ্ট হন। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে শিক্ষক মশাই নৃত্য করানোর ব্যাপারে তাকে সুযোগ করে দিতেন। পরবর্তীকালে তাঁর নৃত্যের প্রথম গুরু অঞ্জনা দীক্ষিতের কাছে নাচ শেখেন। সেই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ও নাচের শিক্ষাগুরু কে অনুষ্ঠানে হাজির করিয়ে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করে অম্বিকা ভান্ডারী প্রশংসিত হন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ধরনের উদ্যোগ বিরল বলে অনুষ্ঠানে অনেক অতিথি মন্তব্য করেন। প্রয়াত ও নৃত্যশিল্পী যতীন্দ্র সিংয়ের স্মৃতিতে দুর্গাপুরের চারজন শিল্পীদের সম্মাননা দেয়া হয়। নৃত্যের জগত থেকে সোমা চাকমা, গানের জগত থেকে ঋতুপর্ণা বিশ্বাস সরকার, বাচিকশিল্পী সুচিত্রা সরকার, অংকনের জগত থেকে সুব্রত সাহা। অন্যদিকে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক উত্তম কুমার দানা, সুনীতি ঘোষ, মনোরঞ্জন মন্ডল, মোহাম্মদ মহসিন, পরিমল গড়াই, স্বপন মল্লিক, কমলেশ পাল, রবীন ঘোষ, সমীর দাস, অনুপ মন্ডল, আশুতোষ দাস, দেবাশীষ পাল, বিশ্বনাথ মন্ডল, সন্দীপ রায় চোদ্দ জনকে আলোর দিশারী সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৃত্যশিল্পী ওয়াই হেমন্ত কুমার, কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি সোনালি কাজী, অঞ্জনা দীক্ষিত, পরেশনাথ ঘোষ, শুভেন্দু মুখার্জি প্রমুখ। এই অনুষ্ঠানে একাডেমির দুশো দশ জন ছাত্র-ছাত্রী নৃত্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। ভরতনাট্যম নৃত্য, রবীন্দ্র নৃত্য বিভিন্ন আঙ্গিকের সৃজনশীল নৃত্য ও লোকনৃত্য দর্শক শ্রোতাদের মন জয় করে। রবীন্দ্রনাথের শ্যামা নৃত্যনাট্য ও ঠাকুমার ঝুলির বুদ্ধুহুতুম নাটকটি অনুষ্ঠানের উৎকর্ষতা বাড়িয়ে দেয়। একাডেমির কর্ণধার অম্বিকা ভান্ডারী এক সাক্ষাৎকারে বলেন তিন থেকে ৬২ বয়সের ছেলেমেয়েরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষ করে তেরো জন মা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে অনেককে অবাক করে দিয়েছেন।