|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ইদ-ঊল ফিতর। ধর্মীয় পরিভাষায় একে ইয়াওমুল জায়েজ অর্থাৎ পুরস্কারের দিবস হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখা বা সিয়াম সাধনার পর ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্য পালন সহ খুব আনন্দের সাথে পালন করে থাকেন।
হিজরি বর্ষপঞ্জী অনুসারে রমজান মাসের শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ইদ-ঊল ফিতর উৎসব পালন করা হয়। মঙ্গলবার সারা বিশ্বের সাথে এদেশেও ইদ পালন হল। এইদিনে সকাল সকাল স্নান সেরে নতুন জামা কাপড়, পোশাক পরিধান করে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষরা নিজ নিজ বাড়ির নিকটবর্তী মসজিদে ইদের নামাজ পড়েন। জেলা শহর মেদিনীপুরেও সকাল থেকে ইদ উপলক্ষ্যে মুসলিম সম্প্রদায়র মানুষদের মধ্যে ছিল বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনা।মেদিনীপুরের পাশাপাশি মুসলিম অধ্যুষিত ব্লক কেশপুর, খড়্গপুর সদর, খড়্গপুর গ্রামীণ ব্লকেও দিনটি আনন্দের সঙ্গে অতিবাহিত করেন মুসলিম সমাজ। কেশপুরের বিভিন্ন গ্রামের সাথে মুগবসান গ্রামেও ইদ উদযাপন হলো জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে। এদিন মেদিনীপুরের ইদগা ময়দানে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। ইদ-ঊল-ফিতরের জামাতের ইমাম জানান, মেদিনীপুর শহর সহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ গুলিতে আলাদা আলাদা নির্ধারিত সময়ে ইদের নামাজ হয়।সেই নির্ধারিত সময়ে বিভিন্ন মসজিদগুলিতে নামাজ পড়েন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। নামাজ শেষে মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা কোলাকুলি করে একে অপরকে খুশির ইদের শুভেচ্ছা জানান। পরে ইদের স্পেশাল খাবার সিমাই, লাচ্ছা, খেজুর সহ নানা ভোজে অংশ নেন মুসলিম সমাজ। এই উপলক্ষ্যে বিভিন্ন মুসলিম এলাকাগুলিকে রঙ বেরঙের আলো দিয়ে সাজানো হয়।