অতিবর্ষণের জেরে মাথায় হাত চাষিদের! জলের নিচে মেদিনীপুরের ৪২ হাজার হেক্টর জমির ধান

অতিবর্ষণের জের। জলের নিচে মেদিনীপুরের ৪২ হাজার হেক্টর জমির ধান। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আমন ধানের। পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে সবজিরও। তবে বৃহস্পতিবার নতুন করে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তির হাওয়া জেলা প্রশাসনে।

     

    প্লাবন পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে সবং, পিংলা ও ডেবরা ব্লকের। যে ৪২ হাজার হেক্টর জমির ধান জলের তলায় চলে গিয়েছে তার মধ‌্যে সবথেকে বেশি ওই তিন ব্লকেই। জেলা কৃষি দপ্তরের-সহ অধিকর্তা দুলাল দাস অধিকারী বলেছেন, ওই তিন ব্লক ছাড়াও দাসপুর ১ নম্বর ও ঘাটাল ব্লকে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে এদিন জল নামতে থাকায় কিছুটা হলেও জলের তলায় ডুবে থাকা ধান বাঁচবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ক্ষতির পরিমান কমতে পারে। জল নামলে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, প্রতিটি ব্লককে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব তৈরি করতে বলা হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, গত কয়েকদিনের লাগাতার বর্ষণে জেলার বহু এলাকাতেই জল জমে গিয়েছে।গত মঙ্গলবার সবংয়ে সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। একদিনে বৃষ্টির পরিমাণ ২৫০ মিলিমিটার। ফলে জেলাজুড়েই সতর্কতা জারি করা হয়। জেলাজুড়ে সরকারিভাবে ১০২ টি ত্রানশিবির খোলা হয়। যেখানে প্রায় দেড় হাজার জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়। তবে বুধবার থেকে বৃষ্টির হার কিছুটা কমেছে। বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ২১ মিলিমিটার। বৃহস্পতিবার অবশ‌্য তাও হয়নি। সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে আকাশ। মাঝেমাঝে মেঘলা আবহাওয়া তৈরি হলেও বৃষ্টিপাত সেভাবে হয়নি। ফলে স্বস্তিতে সকলেই। খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের গোপালপুরের চাষি শেখ পিয়ার নবী বলেছেন, “ভারী বৃষ্টির জেরে তাঁদের এলাকার বেশ কিছু জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। জল বেড়েছে নদীতেও। প্রায় ৩০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে কংসাবতী ব‌্যারেজ কর্তৃপক্ষ। সেই জল এসে পৌঁছলে সমস‌্যা দেখা দিতে পারে। সেচদপ্তরের পক্ষ থেকেও নদীবাঁধগুলোকে রক্ষা করার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কিছু ফাটল দেখলেই তড়িঘড়ি তা সারিয়ে তোলার নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে।