সুতিতে শ্যুট আউটের  ঘটনায় গ্রেফতার নিহতের স্ত্রী!

নিজস্ব সংবাদদাতা : সুতিতে শ্যুট আউটের  ঘটনায় গ্রেফতার করা হল নিহতের স্ত্রীকে । মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছিল। নিহতের নাম প্রবীর দাস। পুলিশের দাবি, সুতির হাপানিয়া এলাকায় পোলট্রি ফর্মে গুলি করে খুন করা হয় প্রবীরকে। সেই ঘটনায় বৃহস্পতিবার প্রবীরের স্ত্রী, রাখি দাসকে গ্রেফতার করল পুলিশ।গত কাল, বুধবারই প্রবীর দাসের হত্যার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তার পর, আজ সকাল থেকে রাখিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। সন্ধের দিকে গ্রেফতারি। পুলিশ সূত্রে খবর, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে জঙ্গিপুর আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, গত মঙ্গলবার রাতে পেশায় ব্যবসায়ী প্রবীর দাসকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই যা ঘটার ঘটে গিয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওই ব্যবসায়ীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ভাবে তখন থেকেই পুলিশের অনুমান ছিল, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপড়েনেই এই শ্যুটআউট চলেছে। তদন্তে নেমে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি মোটরবাইক উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হলেন নিহতের স্ত্রী। গত এপ্রিলে, অন্য একটি ঘটনায়, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই স্ত্রীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। সে বার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের মানিকপুরে ঘটনাটি ঘটে।গত এপ্রিলের ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় বছর ৫৫-র মীনা দেবনাথ নামে এক মহিলার। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৩৫ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সম্প্রতি সাতান্ন বছরের স্বামী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় অশান্তি চলছিল। ঘটনার আগে দম্পতির মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুনেছিলেন প্রতিবেশীরা। এরপরই উধাও হয়ে যান স্ত্রী। তার দিনদুয়েক পর, রাতের দিকে নিহতের বাড়ির কাছেই বাগানের ভিতর থেকে মীনার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে সোনারপুর থানার পুলিশ। একই সময়ে, বাঁকুড়া শ্যামদাসপুর গ্রামে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মারা যান সিন্টু আদক নামে বছর ৫১-র ওই ব্য়ক্তি। মত্ত অবস্থায় স্বামী অত্যাচার করতেন বলে বছর ছয়েক আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। বিড়ি বেঁধে সংসার চালিয়ে, তিন মেয়েকে বড় করে বিয়েও দেন। অভিযোগ, এরপরও বন্ধ হয়নি স্বামীর অত্যাচার। ঘটনার দিন বাপের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করায়, স্বামীকে বাঁশের খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন স্ত্রী। সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন স্বামী। অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।