অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শহরে ফেরার পর থেকেই ‘অতি সক্রিয়তা’ শুরু ইডির

নিজস্ব সংবাদদাতা : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) শহরে ফেরার পর থেকেই ‘অতি সক্রিয়তা’ শুরু ইডির। এমন অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। এবার ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উঠে এল তাঁর নাম। ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব ছিলেন তিনি। এই বিজ্ঞপ্তি সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য হয়তো এই বিজ্ঞপ্তি ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেন শুভেন্দু অধিকারীকে ডাকা হচ্ছে না?সোমবার থেকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের একাধিক অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ঘটনাচক্রে রবিবারই চিকিৎসা সেরে আমেরিকা থেকে কলকাতায় ফিরেছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। তারপর থেকেই ইডি তল্লাশির গতি বাড়িয়েছিল বলে সরব হয়েছিল তৃণমূল। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উঠে এল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নাম। বলা হয়েছে, ২০১২ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত সংস্থার সিইও ছিলেন। এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এি দায়িত্ব সামলেছেন ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত।এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি সামনে আসার পরই অভিষেককে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, “কারও স্মৃতি আমি একটু তাজা করে দিতে চাই। যিনি প্রায়ই বলে থাকেন, এজেন্সি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলে পড়বেন। ফাঁসির মঞ্চের দরকার নেই তদন্তকারী সংস্থার অফিসে গিয়ে সহযোগিতা করলেই হবে। আশা করি এটাই বিবেক জাগ্রত করার জন্য যথেষ্ট।” বিরোধী দলনেতাকে পালটা দিয়েছে তৃণমূল। নারদ কাণ্ডে কাগজে মুড়ে টাকা নেওয়ার শুভেন্দুর একটি ছবি পোস্ট করেছেন অভিষেক। সঙ্গে লিখেছেন, আশা করি কারও বিবেক জাগ্রত করতে এই ছবিই যথেষ্ট। জানতে পারি, আপনি কবে হেঁটে এসেন্সির দপ্তরে পৌঁছে যাবেন?”