|
---|
মোল্লা জসিমউদ্দিন : মারণ ভাইরাস করোনার বাড়বাড়ন্ত এর পর স্কুল খুলেছিল, মাস খানেকের মধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে তীব্র দহনের জন্য গরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়। এই ছুটির পর পুনরায় গরমের ছুটি বর্ধিত করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এই দীর্ঘকালীন ছুটির বাস্তবতা ঘিরে কলকাতা হাইকোর্টে দাখিল হয় বেশ কয়েক টি জনস্বার্থ মামলা।সোমবার এইরকম এক মামলার শুনানি চলে আদালতে। ‘আরও বাড়তে পারে গরমের ছুটি’? এদিন আদালতের এই প্রশ্নের জবাব দিল না রাজ্য। সোমবার এই মামলার শুনানিতে সরকারি আইনজীবী আদালত কে জানান , -‘ পুরোটাই নির্ভর করছে আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর’। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে – ‘ ২৭ জুন থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন শুরুর এখনো কোনও নিশ্চয়তা নেই’।সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে গরমের ছুটি বর্ধিত সংক্রান্ত মামলা।’আরও বাড়তে পারে গরমের ছুটি’? আদালতের এই প্রশ্নের যথাযথ জবাব দিতে পারেনি রাজ্য। এদিন এজলাসে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, -‘ রাজ্যে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে। আবহাওয়াও সর্বত্র মনোরম। তাই গরমের ছুটি জারি রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। আদালত এখুনি স্কুল খোলার নির্দেশ দিক’। প্রতুত্তরে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, -‘ গরমের ছুটি দীর্ঘায়িত করার বিজ্ঞপ্তি জারির সময় রাজ্যে চরম অস্বস্তিকর আবহাওয়া ছিল’। এরপর প্রধান বিচারপতি রাজ্যের কাছে জানতে চান? ” রাজ্যের কি গরমের ছুটি আর বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা রয়েছে’? এরজবাবে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, -‘ গোটাটাই নির্ভর করছে আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর’।মামলাকারীদের আরও দাবি,-‘ স্কুল বন্ধ থাকায় রাজ্যের স্কুল পড়ুয়ারা মিড ডে মিল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে’। তবে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, -‘স্কুল বন্ধ থাকলেও মিড ডে মিল বন্ধ হয়নি’।গত ২ মে থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে গরমের ছুটি। গত ১৬ জুন রাজ্যে স্কুল খোলার কথা ছিল। তবে অস্বস্তিকর গরমের কারণ দেখিয়ে ২৬ জুন পর্যন্ত ছুটি বর্ধিত করে রাজ্য সরকার।আগামী ২৭ জুন স্কুল খোলার কথা।তবে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে বর্তমানে যেমন মনোরম আবহাওয়া রয়েছে, তা অপরিবর্তিত থাকলে নির্ধারিত দিনেই স্কুল খুলতে পারে।তবে বেশ কয়েকটি স্কুল পুনরায় অনলাইনে ক্লাস শুরু করে দিয়েছে, যাতে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় ক্ষতি না হয়।এই ধরনের উদ্যোগ ( অনলাইনে পড়াশোনা) কে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিধান শিশু উদ্যান এর সম্পাদক গৌতম তালুকদার মহাশয়।