ফণীর হাওয়ায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে আগুন লাগল দিনমজুরের ঘরে

নবাব মল্লিক; দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাড়ির পাশ থেকে যাওয়া বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বাড়িতে আগুন লাগায় সর্বস্ব হারাল বাংলা থেকে গিয়ে দিল্লিতে খাটা দিনমজুর গৌতম হুদাই।

    ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের নন্দকুমার পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহাম্মদ নগর গ্রামীণ এলাকায়।

    গ্রামের ঘর, ধান জমি দেখাশোনা করে তারই ছোট ভাই। ফণীর দাপটের আগাম সতর্কতার জেরে ছোট ভাই লোকজন নিয়ে ধান তুলে ঘরের পাশেই গতকাল গাদা দিয়েছিল।

    কিন্তু আজ হঠাৎ বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার হাওয়াতে ছিঁড়ে ঘরের উপরে উপরে পড়ে আগুন ধরে যায়। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে জল দিয়ে নেভাবার চেষ্টা করলেও হাওয়ার গতি জোর থাকায় নিমেষের মধ্যে ঘরে থাকা এলইডি টিভি, ফ্রিজ সহ অন্যান্য আসবাপত্র, এমনকি পুড়ে যায় জলের মেশিন, ধানের গাদা।

    খবর যায় রায়দিঘি থানায়। রায়দিঘি থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। গৌতম ও তার স্ত্রী এবং এক ছেলে দিল্লিতে প্রায় সাত বছর রয়েছেন। দিল্লিতে পরিচারিকার কাজ করে যেটুকু টাকা পেয়েছিলেন, আশা ছিল বাড়িতে এসে পাকা ঘর করবেন। বর্তমানে ছোট ছেলে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র নরেন্দ্রপুর স্কুলের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। বাড়ি এলে সে তার কাকার বাড়িতেই থাকে। কাকার কাছে খবর পেয়ে আজ বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসে বাড়ির দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায়। যে বিদ্যুতের জন্য মানুষের এত চাহিদা, সেই বিদ্যুৎ তাদেরকে সর্বশান্ত করে দিল।

    এই খবর পেয়ে রায়দিঘি থানার প্রশাসনসহ নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জ্যোৎস্না পাত্র, উপপ্রধান কানাই গিরি, পঞ্চায়েত সদস্যা লজ্জাবতী খাঁড়া, বিশিষ্ট সমাজসেবী মনোরঞ্জন পাত্র দেখতে আসেন এবং গৌতম হুদার ছেলেকে সান্তনা দেন এবং অঞ্চল এর পক্ষ থেকে সাহায্যের ব্যাপারে আশ্বাস দেন। বর্তমানে খবর গিয়েছে দিল্লিতে। দিল্লি থেকে গৌতম হুদাই ও স্ত্রী ছেলে গ্রামে আসার জন্য রওনা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।