|
---|
ময়নাগুড়ি: এখনও সকলের বাড়িতে নেই পরিশ্রুত পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত। তাই পরিস্রুত পানীয় জল পেতে পাড়ায় পাড়ায় গজে ওঠা পানীয় জল তৈরীর ইউনিটের উপর ভরসা করেন অনেকেই। পাড়ায় পাড়ায় জার বা ২০ লিটারের ড্রামে করে পরিস্রুত পানীয় জল অল্প দামে কিনে নেওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন অনেকেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ময়নাগুড়ির শহরতলির অনেক জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বোতল-বন্দি পানীয় জল তৈরীর ইউনিটগুলির অধিকাংশেরই লাইসেন্স নেই। জলের গুণমান বিচার করারও কোনও ব্যবস্থা নেই। সম্পূর্ণ সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের উপরেই ভর করে গজিয়ে উঠছে স্বল্প বিনিয়োগে চড়া মুনাফার জলের ব্যবসা। এই অভিযোগে মঙ্গলবার ময়নাগুড়ি শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাল ফুড কোন লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে চলতে থাকা দুটি পানীয় জলের প্ল্যান্ট বন্ধ করল খাদ্য সুরক্ষা দফতর। বুধবার ময়নাগুড়ির দুটি পানীয় জলের প্ল্যান্টে অভিযান চালিয়ে প্ল্যান্ট দুটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, প্ল্যান্ট দুটি চালনার ক্ষেত্রে যেমন ছিল না সরকারী অনুমোদন, তেমনি মানা হচ্ছিল না জলের গুনগত মান। এই ঘটনায় জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। এই ধরণের অবৈধ কারবার বন্ধ করতে ময়নাগুড়ি ধূপগুড়ি এলাকায় লাগাতার অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক প্রতিভা তামাং।
নিয়ম অনুযায়ী, পরিস্রুত পানীয় জল তৈরীর ক্ষেত্রে অপরিশোধিত জলের ৭০ শতাংশ ব্যবহার করা যায়, বাকী ৩০ শতাংশ ফেলা যায়।
কিন্তু ময়নাগুড়ি শহরের গজিয়ে ওঠা এই সব পানীয় জল তৈরীর প্লান্টে জল পরিস্রুত করার তেমন কোনও নিয়মই মানা হচ্ছে না। কোনও মতে ক্লোরিন মিশিয়ে জল ‘পরিস্রুত’ করে অর্ডার অনুযায়ী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি বাড়ি। নিয়ম মেনে পরিশ্রুত পানীয় জলের কারবার করার অভিযোগে ময়নাগুড়ির দুটি জলের প্ল্যান্টে তালা ঝুলিয়েছে জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতর সেফটি দপ্তরের আধিকারিকরা।
পানীয় জলের এই বেআইনী কারবারে রীতিমতো উদ্বিগ্ন তাঁরা। একই সঙ্গে চিন্তা বেড়েছে প্রশাসনেরও। কারণ, এই অবৈধ, অপরীক্ষিত পানীয় জলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শহর ও শহরতলির হাজার হাজার মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকটিও। নিয়ম হল, বোতল-বন্দি পানীয় জলের ইউনিট খুলতে হলে সঙ্গে ল্যাবরেটরি থাকা বাধ্যতামূলক