|
---|
বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : মানবতাবাদী ও যুক্তিবাদী কেন্দ্রের সদস্যরা সুন্দরবনের বাঘে আক্রান্ত পরিবার ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করলেন-কুলতলির বাঘে আক্রান্ত পরিবার গুলির বাড়িতে গিয়ে। দিনের পর দিন বাঘের আক্রমণে মৃত্যু মিছিল বেড়ে চলেছে।এতে উদ্বিগ্ন মানবতাবাদী ও যুক্তিবাদী কেন্দ্রের সদস্যরা। এলাকাবাসী দিনের পর দিন জীবন জীবিকার তাগিদে গভীর জঙ্গলে ও খাঁড়িতে মধু ও কাঁকড়া মাছ ধরতে যাচ্ছেন। একটু খানি অসতর্কত হলেই বনবিবির বাহন তাদের কে ঘাড় মটকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে গভীর জঙ্গলে । কখনো বা সঙ্গীদের তৎপরতায় বাঘের থাবা থেকে ছাড়িয়ে আনলেও শেষ রক্ষা হয় না । কখনো বা জঙ্গলে যাওয়া ওই সমস্ত মৎস্য জীবির দেহ ফিরিয়ে আনতে পারে না সঙ্গীরা। বাঘ গভীর জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে চলে যায়। গভীর জঙ্গলের মধ্যে গেলে আর বাড়ি ফেরার নাম ভূলতে হয় তাদের। কুলতলির বিভিন্ন প্রান্তে সমরেন্দু চক্রবর্তী, তপন নস্কর, সম্পর্ক চক্রবর্তী গৌতম প্রামাণিক, রঘুনাথ মন্ডল, মানবতাবাদি ও যুক্তিবাদী কেন্দ্রের সদস্যরা সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের বাঘে আক্রমণে নিহত ও আহত পরিবারের সন্তানদের “জনগনের পাঠশালা” নির্মান করে বিশেষ শিক্ষাদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানালেন মানবতাবাদী ও যুক্তিবাদী কেন্দ্রের সম্পাদক সমরেন্দু চক্রবর্তী। উনি আরো জানালেন বংশপরম্পরায় একটা জনগোষ্ঠী জীবিকার তাগিদে বাঘে আক্রান্ত হবে এটা চলতে পারে না। এই সমস্ত সম্পদ বিদেশে রপ্তানি করে সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এবং ধনী সম্প্রদায় এসব খেয়ে রসনা তৃপ্ত করছে। অথচ এই সমস্ত জনগোষ্ঠীর মানুষ জন বাঘের পেটে যাচ্ছে,অভাবগ্রস্ত হয়ে কোন মতে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এই বাঘে আক্রান্ত পরিবার ও সুন্দরবনের জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নতি কল্পে নীতি ও পরিকল্পনা নির্ধারণের সকলের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। জীবন জীবিকার পরিবর্তন ঘটানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্য নিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ করতে চলেছেন। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন রাখছেন। আগামী দিনে এই সমস্ত পরিবারের আর্থসামাজিক দিক তুলে ধরতে রাজ্য সরকারের কাছে দরবার করবেন। লোকালয়ে বাঘ কেন আসছে, অন্যান্য পশুপাখিদের জীব বৈচিত্র রক্ষায় বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণের জন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ ও জঙ্গলের জীব জীবন বিষয়ের অভিজ্ঞ গবেষক, ব্যক্তিও সরকারের কাছে নীতি ও পরিকল্পনা নির্ধারণের জন্য একান্ত আবেদন রাখলেন সমরেন্দু চক্রবর্তী । বিগত দিনগুলিতে কালাচ সহ অন্যান্য বিষধর সাপের আক্রমণ হলে গুনিন ও ওঝার বাড়ি যাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে সরকারী হাসপাতাল মুখি করে চলেছেন, মানবতাবাদী ও যুক্তিবাদী কেন্দের সদস্যরা।