সাদলিচক অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের কম্বল ও শীতবস্ত্র প্রদান

মালদা: হরিশচন্দ্রপুর এলাকার সাদলিচক মাঠে সাদলিচক অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। এই দিন ওই প্রতিযোগিতার ফাইনাল ছিল। সঙ্গে এলাকার দুস্থ মানুষ এবং গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের কম্বল ও শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়। ফাইনাল ম্যাচ দেখতে উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি, হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার বিধায়ক তজমুল হোসেন, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান, যুব নেতা জিয়াউর রহমান, পঞ্চায়েত সমিতি শিক্ষা কর্মাদক্ষ মনিরুল ইসলাম এবং এই প্রতিযোগিতার অন্যতম উদ্যোক্তা আশরাফুল হক সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ। গত বিধানসভা ভোটে মালদা জেলা তথা হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভাতেও ভালো ফলাফল করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই ভোটে তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যের ‘খেলা হবে’ স্লোগান রাজ্য রাজনীতিতে প্রচন্ড জনপ্রিয় হয়। এই স্লোগানকে সামনে রেখে তৃণমূল যেমন রাজনীতির ময়দানে বাজিমাত করছে তেমন ভাবেই যুব সংগঠন রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করছে। এদিনের ফুটবল খেলার ময়দান থেকে সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে খেলা হওয়ার ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।তারা আত্মবিশ্বাসী মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়ন কে সামনে রেখে পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফল করবে দল। কার্যত বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত করার ডাক দিচ্ছে শাসক দলের নেতারা। যদিও এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি পাল্টা বলছে শাসকদল রক্তের খেলা খেলছে। আবার তৃণমূলের দাবি বিরোধীদের কোন জায়গা নেই তাই এইসব কুৎসা করছে।

    মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন,” পঞ্চায়েত ভোটেও খেলা হবে।

    পাল্টা কটাক্ষ করে বিজেপির জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেন,” নির্বাচন করার কোন দরকার নেই। কারণ নির্বাচন হলে তৃণমূল রক্তের খেলা খেলছে। এর থেকে নির্বাচন কমিশন তৃণমূলকে এমনিতেই জয়ের সার্টিফিকেট দিয়ে দিক। এতে অনেক অর্থের অপচয় বাঁচবে। অনেকের প্রাণ বাঁচবে।”

    গত বিধানসভা ভোটে হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভায় প্রথমবারের মতো জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যতেও জারী থাকে মমতা ম্যাজিক। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও আত্মবিশ্বাসী এলাকার তৃণমূল নেতারা। যদিও বিজেপি বারবার দাবি করছে ভোটের সময় প্রশাসনিক ক্ষমতা কে ব্যবহার করে সন্ত্রাস করছে শাসকদল। যা নিয়ে অব্যাহত থাকছে রাজ্যের প্রধান দুই জুজুধান পক্ষের রাজনৈতিক তরজা।