প্রায় মিনিট পঁয়তাল্লিশ দুমড়ে যাওয়া গাড়িতে আটকেও বাঁচল প্রাণ

প্রায় মিনিট পঁয়তাল্লিশ দুমড়ে যাওয়া গাড়িতে আটকেও বাঁচল প্রাণ

     

     

     

    নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : ছোট একটি চার চাকা গাড়ির ছাদে উল্টেছে লোহাবোঝাই ট্রাক। তুবড়ে যাওয়া গাড়ির মধ্যে কুঁকড়ে কোনও রকমে আটকে আছেন দু’জন। তবে দু’জনেই রক্ষা পেয়েছেন। শুক্রবার প্রায় মিনিট পঁয়তাল্লিশ ওই ভাবে থাকার পরে উদ্ধার করা হয় গাড়ির চালক ও পিছনে বসা ব্যক্তিকে। চালক আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারালেও, গাড়ির মালিক অক্ষত ছিলেন। ওই অবস্থাতেও চিৎকার করে চালককে আগে বাঁচানোর আর্তি জানাচ্ছিলেন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে পুলিশ ক্রেন দিয়ে ট্রাকটি সরিয়ে গাড়িটি কেটে বার করে তাঁদের। তবে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওই দুর্ঘটনায় ট্রাকের চালক-খালাসির খোঁজ মেলেনি।

     

    গাড়ির মালিক, হুগলির দশঘড়ার বাসিন্দা অরুণ ঘোষ বলেন, ‘‘মনে হচ্ছিল চোখের সামনে মৃত্যু দাঁড়িয়ে। কোনও রকমে জানালার দিকে সরে এসে প্রাণ বাঁচাই। লোকজন ক্রমাগত ভরসা জোগান। মনের জোরেই বাঁচলাম বোধহয়!’’ পুলিশ জানিয়েছে, চালক প্রণয় দাসকে বর্ধমানের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল অনাময়ে ভর্তি করানো হয়েছে।

     

    পেশায় ব্যবসায়ী অরুণবাবু জানান, সকালে দশঘড়া থেকে বর্ধমানে আসছিলেন তিনি। মেমারির কানাইডাঙা এলাকায় পাশ দিয়ে যাওয়া বারো চাকার ট্রাকটি তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। চালক নিয়ন্ত্রণ হারাতেই রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে পাল্টি খেয়ে ট্রাকের সামনে এসে যায় গাড়িটি। তখনই ট্রাকটিও লোহালক্কড়-সহ উল্টে পড়ে গাড়িটির উপরে। গাড়ির ছাদ, সামনের কাচ ভেঙে যায়। কোনও রকমে সিটে মাথা গুঁজে প্রাঁণ বাঁচান ওই দু’জন। কিছুক্ষণের মধ্যেই জড়ো হন আশপাশের বাসিন্দারা। তাঁদেরই এক জন শেখ মইনুল হাসান বলেন, ‘‘গাড়িটার অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তখনই গাড়ির মধ্যে থেকে এক জনের চিৎকার কানে আসে। পিছনে বসা ব্যক্তিকে অক্ষত দেখে অবাক হয়ে যাই। উনি সমানে বলছিলেন, আগে চালককে দেখুন। চালক অবশ্য চোট পেয়ে কথা বলতে পারছিলেন না। দু’জনকে বাঁচাতে পেরে ভাল লাগছে।’’