এ বার প্রকাশ্য সভাতেও মুখ খুললেন বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন তৃণমূল পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য!

নিজস্ব সংবাদদাতা:   সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন আগেই। এ বার প্রকাশ্য সভাতেও মুখ খুললেন বনগাঁ পৌরসভার (Bangaon Municipal Corporation) প্রাক্তন তৃণমূল পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য। কাটমানি (Cut Money)থেকে শুরু করে পক্ষপাতিত্ব, বনগাঁ পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি (North 24 Parganas News)।

     

    সোমবার বনগাঁয় (Bangaon News) তৃণমূলের একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন হয়। সেখানেই আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গেল শঙ্করবাবুকে। বাটার মোড়ে দাঁড়িয়ে বক্তৃতার আগাগোড়া চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে গেলেন বর্তমান চেয়ারম্যানকে।

     

    সমবার ওই সভা থেকে শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘বনগাঁ পৌরসভায় অনাস্থার সময় ৪০ থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা আপনি নেননি! আমি সাক্ষী দেব। যদি ক্ষমতা থাকে আমার বিরুদ্ধে মামলা করে দেখান। এমন দিন দেখাবেন না, যাতে চার-পাঁচ হাজার মানুষ গিয়ে পৌরসভা ঘেরাও করেন।’’

    দেখাবেন না, যাতে চার-পাঁচ হাজার মানুষ গিয়ে পৌরসভা ঘেরাও করেন।’’

     

    আরও পড়ুন: Bolpur News: বিল্ডিং প্ল্যান পাস করাতে অনুদান, বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের

     

    সম্প্রতি কচুরিপানা দিয়ে প্লেট, কৌটো বানানোর শিল্পের কথা বলতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে সঙ্করবাবুর কথায়। তিনি বলেন, ‘‘কচুরিপানা সরকারের কোনও প্রকল্পই নয়।’’ বর্তমান চেয়ারম্যান তাঁকে অপমান করেছেন বলেও অভিযোগ করেন।

     

    বিজেপি-র প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগও

     

    শুধু তাই নয়, বিজেপি-র সঙ্গে বর্তমান চেয়ারম্যানের যোগসাজশ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শঙ্করবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি-র পথসভার জন্য ৭০ হাজার টাকা নিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান।’’ বনগাঁ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর দেবদাস মণ্ডলকেও তীব্র আক্রমণ করেন শঙ্করবাবু।

    অন্য দিকে, বীরভূমে সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হলেন তৃণমূল নেতা এবং স্থানী বাসিন্দাদের একাংশ। তা নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ হয় মুরারই থানার রাজগ্রাম ডিসিআর শিবিরে। রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চল থেকে যে সব গাড়িতে পাথর আসে, সেগুলির কাছ থেকে ভূমি দফতরের কর্মীরা রয়্যালটি বাবদ কুপনের মাধ্যমে টাকা নেন। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, পাথরের ওজনের উপর সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মাল দেখিয়ে, বেআইনি ভাবে বেশি টাকা নিয়ে পাথর ভর্তি লরি পাশ করানো হচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধে নামলেই ভূমি দফতরের সরকারি কর্মীদের দুর্নীতি বেড়ে যায় বলে অভিযোগ।