|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: অশান্তি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই তত্পর সিবিআই। খবর সূত্রের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নজরদারিতে তৈরি ৪টি বিশেষ টিম। সিবিআইয়ের ২৫ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক রয়েছেন ৪টি টিমে। প্রত্যেকটি টিমে থাকছেন একজন জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার। প্রতি টিমে থাকবেন ২ জন করে ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার। টিম প্রতি থাকছেন ৩ জন এসপি পদমর্যাদার অফিসারও। আজ-কালের মধ্যেই অফিসারদের কলকাতায় পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এই অফিসারদের দেহরাদুন, দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কলকাতায় আসতে বলা হয়েছে।
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায়, গতকালই হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ২৯টি খুন ও ১২টি ধর্ষণের মতো মামলায় CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত এবং ভাঙচুর, আগুন, মারধর, ঘরছাড়া করার মতো অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তে, রাজ্য পুলিশের ৩ কর্তাকে নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ।
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় ১৩ জুলাই হাইকোর্টে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৈরি কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে। রিপোর্টে মূল সুপারিশ ছিল, ঘৃণ্য অপরাধের তদন্তভার দেওয়া হোক CBI-কে। বিচারপর্ব যেন বাংলার বাইরে হয়। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে নির্দেশ দেয়।
নির্দেশ দিয়ে আদালত জানায় ৬ সপ্তাহের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আরও একটি নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হবে। আর কোনও অভিযোগ থাকলে জানাতে হবে ডিভিশন বেঞ্চেই। আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। রাজ্যের সমস্ত সংস্থাগুলি কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের এখনই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তবে সূত্রের খবর সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনা-চিন্তা করছে রাজ্য, এ নিয়ে আইনি পরামর্শও নিচ্ছে রাজ্য সরকার।
মে মাসে ভোটের ফল ঘোষণার পরই হিংসার ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। তারপর সেই মামলা যত এগিয়েছে, ততই তা নিয়ে বেড়েছে চাপানউতোর। অবশেষে বৃহস্পতিবার মামলার রায় দিল হাইকোর্ট।