|
---|
নিজস্ব প্রতিনিধি, ২১ আগস্টঃ হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালের মধ্যে কুকুর ও ছাগলের অবাধ বিচরণ। প্রায়ই দেখা যায়, বারান্দায় শুয়ে থাকা রোগীদের গা ঘেঁষে কুকুর ঘুরে বেড়াচ্ছে।কুকুর ও ছাগল রোগীদের শয্যার চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের খাবারে মুখ দিচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে হাসপাতালের কারও কোনো মাথাব্যথা নেই।কেউ কুকুর ও ছাগল তাড়ানোর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।হাসপাতালের ভিতরেই সারিবদ্ধ ভাবে হাসপাতালের কর্মীরা বাইক রেখে একটা সমস্যা সৃষ্টি করছে।হাসপাতাল কক্ষে রোগীদের নিয়ে যাওয়ার সময় সমস্যায় পড়ছে রোগীর আত্মীয়স্বজনরা।
হরিশ্চন্দ্রপুর -১ নং ব্লকের ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিমান ঝা’র সঙ্গে হাসপাতালের এক কর্মীর বাইক রাখাকে নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
বিমান ঝা জানান,’ কিভাবে একজন সরকারী কর্মচারী হাসপাতালের মধ্যে বাইক রেখে রোগীদের পথ অবরোধ করতে পারে? বলতে খেলে তারা কোনো কর্ণপাত করেন না । হাসপাতালের ভিতরে কীভাবে কুকুর-ছাগল ঢুকে এভাবে অবাধে বিচরণ করতে পারছে, তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। চিকিৎসকেরা নিশ্চয়ই জানেন, কুকুর অনেক রোগের জীবাণু বহন করে। তা ছাড়া কুকুর জলাতঙ্ক রোগের ভাইরাস বহন করে।
হাসপাতালের ভেতরে এভাবে অবাধে কুকুর- ছাগলকে বিচরণ করতে দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি রোগীদের এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে না?
এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে হাসপাতালের ভেতর থেকে কুকুর-বিড়াল তাড়ানোর ব্যবস্থা করা। হাসপাতালে সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এটা তাদের করতেই হবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালের বিএমওএইচ এ কে মন্ডল জানান , “শিগ্ররই ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।