শুক্রবার ছিল বিশ্ব বাঘ দিবস সেই উপলক্ষে কলকাতায় বাইপাসের ধারে একটি হোটেলে ছবির প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়

নিজস্ব সংবাদদাতা : কথায় বলে যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়। তবুও মানুষের জীবনে বাঘ নিয়ে আকর্ষণ কোনও দিনও কমার নয়। দেখার সুযোগ কম হলেও প্রায় সারা বছরই বাঘ দেখার জন্য পর্যটকদের কাছে সুন্দরবন সেরা আকর্ষণ। সুন্দরবন ছাড়াও দেশের বাকি অভায়রণ্য গুলিতেও বাঘ দেখার জন্য মানুষ ভিড় করে। কোনও সিনেমা বা গল্পে বাঘ থাকলে সেটাও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবুও বাঘের সঙ্গে মানুষের এলাকা দখলের লড়াই চলতে থাকে। জীবিকার জন্য সুন্দরবনে মানুষ ঢুকে পড়ে কাঠ, মধু, কাঁকড়া, মিন সংগ্রহ করতে। আবার অনেক সময় খাবারের খোঁজে বাঘও ঢুকে পড়ে গ্রামে। সেখান থেকে গরু ছাগল নিয়ে যায়। এরই মধ্যে সংঘর্ষে দুপক্ষের হতাহতের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষ সচেতন হয়েছে। বনবিভাগও অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। টহল, নজরদারি বাড়িয়েছে। ফলও মিলেছে হাতেনাতে। বাঘের সংখ্যা বেড়েছে আগের তুলনায়। মানুষকে আরও সচেতন করতে এগিয়ে এসেছে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও।শুক্রবার ছিল বিশ্ব বাঘ দিবস। সেই উপলক্ষে কলকাতায় বাইপাসের ধারে একটি হোটেলে ছবির প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। তিনজন ফটোগ্রাফারের সংগ্রহে থাকা বাঘের ছবি এদিন প্রদর্শনীতে নিয়ে আসে হয়। বাঘ ছাড়াও পাখি, হাতি, শিম্পাঞ্জি-সহ আরও অনেক জীবজন্তুর ছবি রাখা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে। আগামী তিনদিন সেই ছবির প্রদর্শনী চলবে। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক দেবাশিষ কুমার, শিল্পী শুভাপ্রসন্ন, প্রাক্তন ক্রিকেটার সম্বরণ বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ। তিনজন ফটোগ্রাফার শিলাদিত্য চৌধুরী, বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী ও ধীমান ঘোষ।শিলাদিত্য চৌধুরী বলেন, “বাঘ মাংসাশী। কিন্তু যেরকম হিংস্র মনে করা হয় তেমনটা নয়। তবে সুন্দরবনের বাঘ তুলনামূলক হিংস্র। খাবারের খোঁজে মাঝেমধ্যেই গ্রামে চলে আসে। প্রায় পয়ত্রিশ বছর ধরে বিভিন্ন জঙ্গলে ছবি তুলে চলেছি। সুন্দরবনেও গিয়েছি অনেকবার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাঘের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু সুন্দরবনে কোনওদিন বাঘ দেখতে পাইনি। তবে একটা বিষয় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। এটা আরও বাড়াতে হবে। বাঘ একটা সুন্দর প্রাণী। সবাই বাঘ দেখতে ভালোবাসে। আমি প্রথমবার বাঘ দেখে যত আনন্দ পেয়েছিলাম। এখনও একই রকম আনন্দ পাই।” ধীমান ঘোষ বলেন, “বাঘ শান্ত প্রাণী। ওর রাজকীয় চাল দেখার মতো। বাঘের ছবি তুলতে সব ফটোগ্রাফারই ভালোবাসে। বাঘ ছবি তোলার অনেক সুযোগ দেয়। যেটা অন্য বন্য প্রাণীর ক্ষেত্রে সেরকমটা হয় না।”