বেকারত্ব দূরীকরণে গান্ধীজি ছিলেন সত্যের পূজারী, যুগের অবতার, মত বিদ্বজ্জনে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ ছাত্র জীবনের সময়কাল থেকেই গান্ধীজি উদারমনস্ক ছিলে। তিনি সংকীর্ণতাকে কখনই মনের কোনে জায়গা দেননি। কলকাতায় গান্ধীজির ১৫০ তম জন্মশতবর্ষ উৎযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা জানান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক্তন উপাচার্য দিলীপ কুমার সিনহা। তিনি আরও জানান, গান্ধীজির অনেক আন্দোলন করেছিলেন, তবে তারমধ্যে অন্যতম হল Experiment with the Truth. সত্যকে নিয়ে লড়াই করা, সত্য প্রয়োগ করার জন্য লড়াকু মানসিকতা গড়ে তুলে ছিলেন তিনি।’ ‘মন-মানষিকতা সুন্দর করে তোলার পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণে তিনি সদা সচেষ্ট ছিলেন। প্রত্যন্ত গ্রামীণ মানুষের হাতে রোজগারের রাস্তা তুলে ধরতে, চরকার মধ্যেও সেদিনেই ‘স্কিল ইন্ডিয়া’ প্রকল্প চালু করে দিয়েছিলেন তিনি। এদিন, আলোচনা প্রসংগে এমনটাই জানান অধ্যাপক সিনহা।

    এদিন ইনিস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ার্স এর সভাপতি শিশির কুমার অধিকারি বলেন, গান্ধীজির ভাবধারায় বতর্মান যুব সমাজ আলোকিত করতে পারলেই, ভারত এগিয়ে যাবে। সেজন্য গান্ধীজির কর্মধারা নিয়ে গবেষণা করার জন্য আমাদের আরো বেশি সচেষ্ট হতে হবে।

    গ্রামীন সমাজকে পুর্নগঠন করার জন্য ১৯৩৫ সালে গান্ধীজি ৮৭ টি ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে তুলেছিলে। সেই তথ্যও তুলে ধরতে ভোলেননি রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার এস.পি দত্ত।

    বাপুর মন-কি-বাত তুলে ধরতে বিজয়গড় জ্যোতিষ রায় কলেজে এদিন উপস্থিত ছিলেন কলেজ অধ্যক্ষ ড. রাজ্যশ্রী নিয়োগী, রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক ৩২৯১ এর প্রাক্তন পরিচালক ঝুলন বসু, তথ্যচিত্র নির্মাতা শিলা দত্ত, সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. অর্ণব ব্যানার্জি প্রমুখ।