আজও রাজনগর খাসবাজার গ্রামে তিনটি সংখ্যালঘু পরিবার রান্না করেন গোবরগ্যাসে

 

    মহঃ সফিউল আলম, নতুনগতি, বীরভূম: অতীতে ও সাম্প্রতিক অতীতে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ও পাড়ায় বেশ কিছু বাড়িতে গোবরগ্যাসে রান্না করার দৃশ্য চোখে পড়তো৷ পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে তাতে পরিবর্তন আসে৷ কাঠ, কয়লা, ঘুঁটে, কাঠের গুঁড়ো বা ভুসি, গাছের শুকনো পাতা প্রভৃতির মাধ্যমে যাঁরা রান্না করতেন তাঁদের অনেকেই এখন গ্যাসের সিলিন্ডার এর মাধ্যমে রান্না করে থাকেন৷ সরকারী ভাবে বিভিন্ন প্রকল্পে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে৷ ভর্তুকিতে অনেকে গ্যাস পাচ্ছেন৷ ছোট সিলিন্ডারের সুবিধাও পাচ্ছেন অনেকে৷ ফলে এতকিছু সুবিধা হাতের নাগালে পাওয়ায় গ্রামাঞ্চলেও গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে রান্নায় উৎসাহিত হচ্ছেন অধিকাংশ পরিবার৷ স্বাভাবিক কারণে গোবরগ্যাসের চল প্রায় নেই বললেই চলে৷ কিন্তু ব্যতিক্রমী দৃশ্য চোখে পড়লো বীরভূমের রাজনগর খাসাবাজার গ্রামে৷

    এই গ্রামে এখনও তিনটি সংখ্যা লঘু পরিবার গোবরগ্যাসের সাহায্যে রান্না করেন৷ সেখ আজেম, মহঃ হোসেন ও সেখ নাসির — এই তিনজনের বাড়িতে গিয়ে তার প্রমাণও মিলল৷ স্থানীয় বাসিন্দা ও বারুদখানা খাসবাজার মসজিদের মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি সেখ আমজাদ এই প্রতিবেদককে তাঁদের বাড়ি ঘুরিয়ে দেখান৷ পরিবারের কর্তা ও সদস্য সদস্যারা জানান, তাঁদের এখানে রান্নার জ্বালানির বিকল্প একাধিক সুবিধা রয়েছে৷ অধিকাংশ বাসিন্দা গ্যাস , স্টোভ ও অন্যান্য জ্বালানি ব্যবহার করেন৷ তবে তাঁরা দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে গোবরগ্যাসের মাধ্যমেই রান্না করে আসছেন৷ বাড়িতে গাই গরু তাঁরা পালন করেন৷ গোবর প্রতিদিন জমা করে রাখা হয়৷ গোবরগ্যাসে তা ব্যবহার করেন তাঁরা৷ এইভাবে রান্নার জ্বালানি হিসাবে এবং অবশেষে চাষের জমিতে সার হিসাবেও অবশিষ্ট অংশ ব্যবহার করা হয়৷ আগামী দিনেও তাঁরা এভাবেই তাঁদের রান্নার কাজ চালিয়ে যেতে চান।