গলসির গলিগ্রামের গুসকরা মোড় এখন মরনফাঁদ, ২ নং জাতীয় সড়কের ওড়ালপুলের দাবী

আজিজুর রহমান,গলসি : গলসির গলিগ্রামে ২ নং জাতীয় সড়কে গুসকরা মোড়ে ওড়ালপুল তৈরী নিয়ে বিতর্কের দানা বেঁধেছে সাধারণ মানু‌ষের মধ্যে। তাদের দাবী, সব জায়গায় কাজ শুরু হয়েছে তবে তাদের ওই মোড়টিতে এখনও কাজ শুরু করেননি বরাত প্রাপ্ত ঠিকা সংস্থা। তারা জানাই, গুসকরা মোড়টি বর্তমানে চার লেনতেই মারন ফাঁদ হয়ে গেছে। ছয় লেন হলে হলে কি হবে সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে তাদের। ইতিমধ্যেই আশপাশের আট দশটি গ্রামের মানুষ ওন্ডারপাশ তৈরীর দাবীতে জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষ সহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা অসীম কুমার চক্রবর্তী, জানিয়েছেন, গোলগ্রাম মৌজার মথুরাপুর গ্রামের ৫৪০+৬১৭ চেনে ছোট যানবাহন পারাপারের জন্য একটি আন্ডারপাশ তৈরী হচ্ছে। তবে গোলগ্রাম মৌজার গুসকরা মোড়ের কাছে ৫৪১ +১৬০ চেনে কোন ওরালপুল বা আন্ডার পাশ তৈরী হচ্ছে না। এই খবর পাবার পর থেকেই ঘুম উড়েছে তাদের এলাকার মানু‌ষের। তিনি বলেন, গুসকরা মোড়টিতে রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে লড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেছেন বহু মানুষ। সরকার যদি এখানে ওড়ালপুল না করে তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলন নামবেন। স্থানীয় গ্রামবাসী, অরুপ রায়, রবি মেটেরা, বলেন, মোড় পেরিয়ে আশপাশের আটদশটি গ্রামের দু তিনশো স্কুল পড়ুয়া নিত্য স্কুল কলেজে যাতায়াত করে। এদিকে তিন চারটি গ্রামের চাষি ওই মোড় দিয়ে জাতীয় সড়ক পেরিয়ে মাঠে চাষ করতে যান। অনবরত গাড়ি চলায় গোরু ছাগল ও লাঙল নিয়ে নিয়ে জাতীয় সড়ক পারাপার করতে সমস্যায় পরেন তারা। তাদের দাবী, গলিগ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ নিত্যদিন ওই মোড় পেরিয়ে বাজারে যান। লড়িতে কাটা যাবার ভয়ে রাস্তা পারাপার করতে চান না বহু মানুষ। তাছাড়া বিভিন্ন কাজে রাস্তা পারাপার করতে ভয় পান বহু প্রবীন মানুষরা। তাদের দাবী ওই জায়গায় ওড়ালপুল না হলে আজীবন সমস্যায় পরবেন বহু মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা অধীর ঘোষ বলেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। বহু ছাত্রছাত্রী এখান থেকে বাসে চেপে স্কুল কলেজে যায়। বহু গ্রামের মানুষ এই মোড়ে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তাই যে যাই বলুক আমরা কারো কথা শুনবো না।  এখানে ওড়ালপুল তৈরী না হলে আমরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করবো।