|
---|
আনজুম মুনির,কলকাতা: অভাবের সংসার নুন আনতে পান্তা ফুরায় কোনরকমে মাথার ছাদ টুকু রয়েছে, সেখানেই দিনরাত এক করে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে সিরাজুল মিয়ার একমাত্র কন্যা পিংকি খাতুন। শত অভাব দারিদ্র্য থাকা সত্ত্বেও মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ হতে দেননি বাবা সিরাজুল মিয়া, দিনরাত ইটভাটায় কাজ করেছেন স্বপ্ন মেয়েকে শিক্ষিত করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চান।
পিংকি পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়ির সমস্ত কাজে মা-বাবার পাশে থেকেছে সাহায্য করেছে এবং সেই সঙ্গে চালিয়ে গেছে পুরোদমে পড়াশোনা তার ফল সে হাতেনাতে উচ্চমাধ্যমিকে পেয়েছে এখন তার চোখে আগামী ভবিষ্যতের স্বপ্ন,সে আরো পড়াশোনা করে উচ্চ শিক্ষিত হতে চায় প্রতিষ্ঠিত হতে চায় জীবনে।
রক্ত ঘাম ঝরানো বাবার পরিশ্রম এবং অভাবের সংসারে পরিবারের প্রত্যাশাকে অনুভব করেছিল এবং পিঙ্কি হতাশ করেনি তার অল্প শিক্ষিত বাবা-মাকে বাবার মুখ উজ্জ্বল করে উচ্চমাধ্যমিকে ৪৫৭ পেয়েছে যা শতকরা ৯১% নম্বর। তার এই রেজাল্ট দরিদ্র বাবার প্রত্যাশাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
এখনো বাদ সেধেছে উচ্চশিক্ষার খরচ কারণ কলেজে ভর্তির জন্য এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে আরো অনেক খরচ টাকার প্রয়োজন আর সেই খরচ বহন করার ক্ষমতা সিরাজুল মিঞার নেই ইটভাটায় যে টুকু সামান্য ইনকাম হয় তা দিয়ে কোনরকমে এক বেলা খেয়ে মেয়ের পড়াশোনার খরচটা উচ্চমাধ্যমিক জোগাড় করতে পেরেছেন কিন্তু এরপরে সেই খরচ বহন করা তার সাধ্যের বাইরে।
তাই পিংকির পরিবার এখন প্রমাদ গুনছে তার উচ্চশিক্ষার এবং জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার এই স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে নাতো? তারা আবেদন জানিয়েছেন যদি কোন সহৃদয় মানুষ তাদের পাশে এসে দাঁড়ান এবং তার মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করেন। অনেক মিশন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে তাদের কাছেও তারা আবেদন জানিয়েছেন যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার মেয়েকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য সাহায্য করেন। এখন সময়ের অপেক্ষা পিঙ্কির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে কোন সহৃদয় মানুষের সাহায্যের উপরে বা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি এগিয়ে আসে তার উপরে নচেৎ সিরাজুল মিয়ার পক্ষে এই উচ্চশিক্ষার ব্যয় ভার বহন করার সাধ্য নেই।