“রাজ্যপালকে না জানিয়ে যতগুলি নিয়োগ হয়েছে সেগুলিকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। না হলে আমাকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।”: রাজ্যপাল ধনকর

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এবং বিধানসভার অধ্যক্ষকে একাধিকবার ডেকে পাঠালেও, তারা আলোচনার একটা বিন্দু আমার সামনে রাখতে পারেননি। বিধানসভার অধ্যক্ষকে নিজের নিজের আসনের মর্যাদা রাখা উচিত। তিনি নিজের দায়িত্ব এবং অধিকারের বিষয়ে অনভিজ্ঞ।“

    অন্যদিকে, উপাচার্য নিয়োগ বিষয়ে রাজ্যপাল বলেন, “উপাচার্য নিয়োগ বিষয়ে আইন কি বলে? রাজ্যপাল যিনি  বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, তাকে না জানিয়ে কি উপাচার্য নিয়োগ করা যেতে পারে? দেশে কোথাও এমন আইন নেই। রাজ্যপালকে না জানিয়ে যতগুলি নিয়োগ হয়েছে সেগুলিকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। না হলে আমাকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। আমি খুবই আশ্চর্য হলাম যখন শিক্ষা মন্ত্রী আমার সাথে আলোচনা না করে মুখ্যমন্ত্রীকে তার আচার্য করবে। আপনারা এক কাজ করুন, মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপাল বানিয়ে দিন । তখন আপনাদের শান্তি হবে।“

    অন্যদিকে, জিটিএ-র সমস্ত আয় ব্যায়ের হিসেব নিইয়েও এদিন ফের তোপ দাগেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেন, GTA এর সমস্ত আয়-ব্যয় তদন্ত করবে CAG, এ ব্যাপারে তিনি আলোচনা করেছেন বলে দাবি করেন রাজ্যপাল। মুখ্য সচিব এবং অতিরিক্ত অতিরিক্ত মুখ্য সচিব দুজনেই মোমের পুতুল বলে এদিন কটাক্ষ করেন ধনকর। ওদের সাথে আলোচনা করে কোন লাভ হয় না এবং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া ওদের জিভ নড়ে না বলেও এদিন কটাক্ষ করেন তিনি।

    ধনকর রাজ্যকে আক্রমণ করে বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশন, যা একটি সাংবিধানিক সংস্থা, সেটি এখন রাজ্য সরকারের একটি অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। সিসিটিভি বিষয়ে আমি সব রকম তথ্য চেয়েছি। আমি নিশ্চিত এই ধরনের ঘটনা আমি আগে আর হতে দেব না। যদি নির্বাচন নিরপেক্ষ ও ভয় মুক্ত না হয়, তাহলে সবচেয়ে বড় কুঠারাঘাত হবে প্রজাতন্ত্র ব্যবস্থার ওপর। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিযুক্ত করা খুবই জরুরী। কারণ কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ রাজ্যের রাজনৈতিক কার্যকর্তাদের মতো কাজ করছে। হাওড়া বিল নিয়ে রাজ্যপালের কাছে কোন চিঠি আসেনি বলে খবরে প্রকাশ।এবং এটা জানিয়েছেন রাজ্যপালের অফিস কর্মকর্তা।