মন্ত্রীর হাত ধরেই পাচ দিনের প্রকৃতি পাঠ শিবির শুরু হলো পাহাড়ি এলাকা লোহার মাকুমে

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: করোনার কারনে এত দিন ঘরের মধ্যেই আবদ্ধ ছিলো স্কুল ছাত্রছাত্রীরা। যার ফলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মানষিক চাপ বারছিলো। তাই এই মানষিক চাপ দূর করতে এবং পাহাড়ি এলাকার মতো প্রতিকুল পরিবেশে থেকে কিভাবে শারীরিক দক্ষতা বারানো যায়, তা শিখতেই প্রায় ১৪৪ জন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শুরু হলো প্রাকৃতিক পাঠ শিবির। এদের মধ্যে ৩০ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্রছাত্রী রয়েছে।

    সবুজ পতাকা নেড়ে এই শিবিরের উদবোধন করেন আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক। উপস্থিত ছিলেন তারঘেরা বন দপ্তরের রেঞ্জার কুনাল বর্মন, মাল ব্লকের তৃনমুল কংগ্রেস এর সভাপতি তমাল ঘোষ, অঞ্চল সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী, ন্যাসের সেক্রেটারি নফসর আলী।

    ওদলাবাড়ি প্রকৃতি প্রেমী সংগঠন নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির পক্ষ রবিবার থেকে শুরু হলো পাচ দিনের প্রকৃতি পাঠ শিবির। কালিম্পং জেলার লোয়ার মাকুম শুরু হলো এই শিবির।

    আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক বলেন, এই সংঠনকে ধন্যবাদ জানাই। এত জন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পাহাড়ি এলাকায় যে শিবির হচ্ছে, তারজন্য প্রয়োজন প্রচুর অর্থের এবং পরিশ্রমের। এই সংগঠনের সদস্যরা গত কয়েকদিন যাবত অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই শিবির করছে। এই শিবিরে ছাত্রছাত্রীদের যেসব জিনিস শেখানো হবে, তাতে তাদের মানষিক বিকাশ ঘটবে এবং স্কুল জীবনেও কাজে লাগবে।

    নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ নন্দী বলেন, এটা আমাদের ২১ তম শিবির। শিলিগুড়ি কলেজ, মালবাজার কলেজ, মালদা, কোলকাতাসহ বিভিন্ন এলাকার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এই শিবির হচ্ছে। আগামি পাচ দিন পাহাড়ি এবং নদী সংলগ্ন মাকুম এলাকায় তাবু টাঙ্গিয়ে চলবে এই শিবির। ছাত্রছাত্রীদের শেখানো হবে রিভার ক্রসিং, মাউন্টেনিং, গাছ, সাপ চেনানো। রাতে বেলায় কিভাবে তাবু টাঙ্কিয়ে সেখানে থাকতে হয় ইত্যাদি। এই শিবিরে ৩০ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্রছাত্রীরাও রয়েছে। তবে সবাইকে করোনা বিধি মেনেই ক্যাম্পে থাকতে হবে। এই শিবির থেকে ছাত্রছাত্রীরা যা শিখবে তা পরবর্তীতে পড়াশুনার ক্ষেত্রে কাজে লাগবে তাদের।