|
---|
বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : গত ১লা মার্চ মঙ্গলবার ২০২২শে পালিত হলো ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে মহা শিবরাত্রির ব্রত বা উপবাস। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটির আলাদা মাহাত্ম্যই আছে। এই দিনে ভক্তরা উপবাস করেন এবং আন্তরিকতার সহিত বাবা মহাদেবের পুজো করেন। বিশেষ করে অবিবাহিত মহিলারা অধিকাংশই এই পূজার ব্রত পালন করেন মহা শিব রাত্রির দিন দেশের বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গে শিবভক্তদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। শিব পুরাণ অনুসারে এই রাতে শিব ও পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল। এই কারণেই মহা শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে শিবের শোভাযাত্রা বের করা হয়। এই দিনে, শিব ভক্তরাও ভোলানাথ এবং মাতা পার্বতীর বিবাহের অনুষ্ঠান করে থাকেন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী শিব-পার্বতীর সঙ্গে বিবাহ হলে দাম্পত্য জীবনের সমস্যা দূর হয়, দাম্পত্য জীবন সুখের ও মধুময় হয়। অন্য একটি বিশ্বাস অনুসারে, মহা শিব রাত্রির দিনে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল।আজকের দিনে শিবলিঙ্গে কিছু বিশেষ জিনিস নিবেদন করা হয়। বিশ্বাস করা হয় এতে করে বাবা মহাদেব শীঘ্রই প্রসন্ন হন।
মহা শিব রাত্রির শুভ মুহুর্ত ১লা মার্চ, ২০২২ মঙ্গলবার মহা শিব রাত্রি পূজোর সময় – রাত ১২টা ৮ থেকে রাত ১২টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত, ২রা মার্চ শিবরাত্রি পরান সময় – সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট, ২রা মার্চ এই ৭টি জিনিস বাবা মহাদেবের প্রিয়- মহা শিব রাত্রির দিন একটু চেষ্টা করলেই মহাদেবের সহজেই প্রসন্ন করা যায়। পূজার সময়, শিবলিঙ্গের অভিষেক এবং তার উপর নিবেদিত প্রতিটি জিনিসের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। শিবলিঙ্গে এই জিনিসগুলি অর্পণ করলে ভগবান শঙ্কর সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন জল-মন্ত্র পাঠ করার সময় শিবলিঙ্গে জল নিবেদন করা আমাদের প্রকৃতিকে শান্ত এবং স্নেহময় করে তোলে। দুধ- শিব-শঙ্করকে দুধ নিবেদন করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং রোগ দূর হয় বেলপত্র- শিবলিঙ্গে বেলপত্র নিবেদন না করলে, শিবের পূজা সম্পূর্ণ হয় না। শিবলিঙ্গে বেল পাতা অর্পণ করলে ভক্তরা আশানুরূপ ফল লাভ করেন। দাতুরা- ভগবান শিবকে দাতুরা নিবেদন করলে কাল সর্প, পিতৃ দোষের মতো রাহু সংক্রান্ত দোষ দূর হয়। চিনি- চিনি দিয়ে মহাদেবকে অভিষেক করলে সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। এতে করে মানুষের জীবন থেকে দারিদ্র্য চলে যায়। ঘি- ভগবান শঙ্করের গায়ে ঘি নিবেদন করলে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি পায়। সুগন্ধি- শিবলিঙ্গে সুগন্ধি লাগালে চিন্তা শুদ্ধ ও পবিত্র হয়। আমাদের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি ঘরে ঘরে শিব রাত্রি পালনের মাধ্যমে।