|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : শুক্রবার পয়লা বৈশাখ। বাঙালির নববর্ষ।এই দিনে নতুন জামা কাপড় পরে সবাই বাংলা নববর্ষ পালন করেন। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে গঙ্গায় স্নান করার জন্য সাধারন মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে শান্তিপুরের বিভিন্ন বিপদজনক ঘাটে প্রশাসনসতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যাতে বছরের প্রথম দিন কোনও অঘটন না ঘটে। আজকের দিনে সমস্ত ব্যবসায়ীরা গণেশ ঠাকুরের পুজো করেন। বাজার হাটে একাধিক দোকানে দেখতে পাওয়া গেলদরজার সামনে কলাগাছ ও ঘটের উপরে ডাব বসানো রয়েছে। দরজায় ঝুলছে মালা। পুজো হচ্ছে ভক্তি ভরে। পুজোর পরে চলে মিষ্টি বিতরণ। তারপরে শুরু হয় হালখাতা। যদিও হালখাতা বিষয়টি অনেক জায়গায় আগের মত আর পালন করতে দেখা গেল না।তবুও মাজদিয়া বাজার সংলগ্ন এলাকার কিছু দোকানে এখনো পুরনো রীতি মেনেই পালন করা হলহালখাতা। সারা বছরের সমস্ত বকেয়া হিসেব মিটিয়ে নতুন করে হিসেবের খাতা চালু করার নামকেই হালখাতা বলা হয়। এদিন প্রত্যেক দোকানে ক্রেতারা এসে তাদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে নিয়ে যান মিষ্টির প্যাকেট ও বাংলা ক্যালেন্ডার। মিষ্টি মুখ দিয়ে শুরু হয় নতুন বছর। মাজদিয়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিজানালেন, ছোটবেলায় দেখা যেত সমস্ত ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের নিমন্ত্রণ করে মিষ্টি খাওয়ানো হতো।তা এখন খুব একটা সেটা দেখা যায় না। ক্রেতাএলে মিষ্টির প্যাকেট দিয়েই হালখাতা পালন করা হযত। তবে সব মিলিয়ে কোভিড মহামারী কাটিয়ে দীর্ঘ দুই বছর পর নববর্ষের প্রথম দিনে উৎসবের আমেজে মজেছে আপামর বাঙালি।