|
---|
শরিফুল ইসলাম, নতুন গতি, শান্তিপুর: রস-রাসে খুসির সাজে সেজে উঠছে উৎসবের শহর শান্তিপুর। বাংলার অন্যতম প্রাচীন নগর শান্তিপুরের শ্রেষ্ঠ উৎসব এই রাসযাত্রার তাত্ত্বিক শুরুয়াত কোথাও কোথাও আজ হলেও শান্তিপুরে সার্বজনীন রাসযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে আগামী কাল। ভাঙা রাসের শোভা যাত্রা বৃহস্পতিবার।
মূলত বিগ্রহ বাড়ি গুলি ও সেখানে অবস্থিত রাধা-রমন ঘিরে পুজো-অর্চনার পাশাপাশি ছোট-বড় অন্তত শতাধিক বারোয়ারি জুড়ে রাই-রাজা , সহ অন্যান্য বহু দেব-দেবীর পুজোর আয়োজন চলে শান্তিপুরে। একই সঙ্গে বিভিন্ন মণ্ডপে মণ্ডপে পূজিত হন অজস্র দেব-দেবী শাক্ত- গাণপত্য ও বৈষ্ণবীয় ইত্যাদি নানা মত ধারায়।
উল্লেখ্য, শান্তিপুরে , পাঁচশ বছরের প্রাচীন এই রাসোৎসবের সূত্রপাত হয় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষক শ্রীশ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভুর উত্তর পুরুষ মথুরেশ গোস্বামীর হাত ধরে।
রাস এবং রাস উৎসব কেন্দ্র করে শান্তিপুর সর্বত্র মেলাময় হয়ে ওঠে। দিন তিনেকের এই উৎসবে স্থানীয় ও বহিরাগত লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম এবং উৎসবের চাকচিক্য, ঐশ্বর্য-আড়ম্বর বৈভবতায় ও আলোকের ঝর্ণাধারায় শান্তিপুর হয়ে ওঠে আক্ষরিক অর্থেই সর্ব-ধর্ম সমন্বয়ে মিলন মেলার ক্ষেত্রভূমি শ্রীময়ী শান্তিপুর।
স্থানীয় প্রশাসন ও শান্তিপুরবাসী সহ বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেলা পরিচালনার কাজে অংশ নেন। দুরদুরান্তের সঙ্গে সহজ যোগাযোগের জন্য চালু থাকে সরকারি ভাবে অতিরিক্ত বাস-ট্রেন -এর পরিষেবা ।
জেলা পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে শান্তিপুরের ঐতিহ্য মণ্ডিত রাস উৎসবকে সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে পরিচালনা করতে সব রকম ভাবে পুলিশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে, জানালেন শান্তিপুর থানার আধিকারিক মুকুন্দ চক্রবর্তী।
রাজ্য তথা ভারতের সর্ববৃহৎ ও অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব রাধা-কৃষ্ণের রাস-মেলায় স্থানীয় ও বহিরাগত পুণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য।